মৌলভীবাজার জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে পারিবারিক বিরোধ নিম্পত্তি। সিনিয়র সহকারী জজ ও জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে কুলাউড়া উপজেলার হেলাপুর গ্রামের ভুক্তভোগী পারভীন সুলতানা তার প্রবাসী স্বামী মুওশর মিয়া,দেবর জালাল মিয়া,মোঃ আহাদ মিয়া, শশুর মোঃ গফুর মিয়া ও শ্বাশুরী মোছাঃ আলই বেগমগংদের বিরোদ্ধে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে মামলা ( নং-প্রি-কেইস নং- ৭৪/১৯) দায়ের করেন। অভিযোগটি আমলে নিয়ে মৌলভীবাজার জেলা জজ আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ ও জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার সরকার হাসান শাহরিয়ার উভয় পক্ষের বক্তব্য গ্রহণ করে তাদের মধ্যকার বিরোধ নিম্পত্তি করার উদ্যাগ গ্রহন করেন। পারস্পরিক সম্মত্তিক্রমে আপোষ- মিমাংসার সিদ্ধান্ত মোতাবেক উভয় পক্ষে অঙ্গীকার করেন, চুক্তিনামার শর্তমতে পরস্পরের অমর্যাদা হয় এমন কোন কাজ, ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণে কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবেন না। শর্ত মোতাবেক ২য় পক্ষ নিজে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে ১ম পক্ষকে দেনমোহর, ভরণপোষন,ইদ্দতকালীন খোরপোষ ও তার দাবীকৃত খোরপোষ বাবত নিধারিত টাকা পরিশোধ করিবেন। তাদের সন্তান ২য় পক্ষের নিজ জিম্মায় না আসা পর্যন্ত, সাবালক না হওয়া পর্যন্ত সস্তানের খোরপোষ বাবত নির্ধারিত টাকা মাসের ১ম সপ্তাহের মধ্যে প্রধান করবেন। বছর পৃর্তি অস্তে বছরান্তে থাকা স্থিতির সহিত অরো ৩শত টাকা করে যুক্ত হবে। ২য় পক্ষ সন্তানের দেখাশুনার জন্য প্রতি সপ্তাহে ২-৩দিন ১ম পক্ষের বাড়ীতে যাতায়াত করতে পারবে। বৈঠকের সিন্তান্ত মোতাবেক উভয় পক্ষের উপহার স্বরুপ দ্রব্রাদি ফেরৎ প্রদান করবেন। সর্বশেষ- গত ২০ ডিসেম্বর জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে ভুক্তভোগী পারভীন সুলতানা ও তার বাবা আব্দুল হাছিব‘র হাতে নগদ টাকা ও উপহার স্বরুপ দ্রব্রাদি ফেরৎ প্রদান করা হয়। এ সময় পক্ষদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মোঃ জালাল উদ্দিন। উল্লেখ্য- বাংলাদেশে নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা অত্যন্ত বেশী। বাংলাদেশে নারীর প্রতি সহিংসতার কারণে প্রতি বছর বহু নারীকে স্বামী, শ্বশুর বাড়ির লোকজন নির্যাতনের কারণে অনেক নারীর সংসার বিচ্ছেদ ঘটে ও শিশুরা অভিভাবকহীন অবস্থায় বড় হয়। বর্তমানে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর অধীন বিচারাধীন মামলার সংখ্যাও কম নয় । এই বিপুল সংখ্যক মামলার পরিসংখ্যানই প্রমাণ করে দেশে পারিবারিক সহিংসতা অনেক বেশী। করোনাকালে সারাবিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে।