পাবনার চাটমোহরের হরিপুর ইউনিয়নের আগসোয়াইল গ্রামে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও অধিদপ্তরের সেতু/কালভার্ট কর্মসূচীর আওতায় আগসোয়াইল-টলটলিয়া পাড়া রাস্তায় মৃত তাজু মোল্লার বাড়ির সামনে বড়াল নদ থেকে বিলকুড়–লিয়া সংযোগ খালের উপর ২৯ লাখ ৫৮ হাজার ৯শ ৯২ টাকা ব্যয়ে ৩৬ ফিট দৈর্ঘ্যরে সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হলেও এর দুই পাশে মাটি ভরাট না করায় এ এলাকার জনগনকে বাঁশের সাঁকো দিয়ে এ সেতু পার হতে হচ্ছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন এ সেতুর উপর দিয়ে মানুষ চলাচল করছে। প্রায়শই বাঁশের সাঁকো হয়ে সেতুটি পার হওয়ার সময় ছোট ছেলে মেয়েরা নিচের খালে পরে গুরুতর আহত হচ্ছে। সেতুটির দৈর্ঘ্য কাগজে কলমে ৩৬ ফিট থাকলেও বাস্তবের দৈর্ঘ্যরে সাথে তার মিল নেই।
সরেজমিন সেতুটি দেখতে গেলে আগসোয়াইল গ্রামের আব্দুল গফুর খাঁ’র ছেলে হাসান আলী জানান, গত জানুয়ারী মাসে সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। শেষ হয় জুলাই মাসে। তার পর দুই পাশ ভরাট না করেই সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন চলে যায়। এ সেতুর উপর দিয়ে পূর্ব পাড়ের টলটলি পাড়া, পাঁচশোয়াইল, শ্রীধরপুর, ধুলাউড়ি, হরিপুর এবং পূর্ব পাশের পুরান পাড়া, শালমারা, দোলং, রামনগর এলাকার লোকজন চলাচল করে। গত এক সপ্তাহে আজিজুল ও মনিরা নামের দুই শিশু বাঁশের সাঁকো থেকে নিচের খালে পরে আহত হয়। আমি এবং পশ্চিম পাড়ের হাসান আলী মানুষের নিকট থেকে বাঁশ চেয়ে এনে এ সাঁকোটি দিয়েছিলাম। বর্তমান এ সেতুর উপর দিয়ে কোন রকম যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। ফলে এ এলাকার প্রায় দশটি গ্রামের মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সেতু পাড়ের বাসিন্দা জিন্নাত আলী জানান, সেতুর দু পাশে মাটি ভরাট না করায় আমাদের খুব সমস্যা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সৈকত ইসলাম জানান, বিষয়টি আমি জানি। আমি জানান পর ঐ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিল আটকিয়ে দিয়েছি। কাজ পুরোপুরি শেষ করার পরে বিল দেওয়া হবে।