গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি:
ইনশাআল্লাহ আমি নমিনেশন পাবো এবং মেয়র নির্বাচিত হবো। আমি প্রতীক পেলে আওয়ামীলীগের আর কোন প্রার্থী মাঠে থাকবে না। বরং অতীতের চেয়ে এবার বেশি ভোট পাবো। এর শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন গুরুদাসপুর পৌর মেয়র মেয়র মো. শাহনেওয়াজ আলী। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে মুঠোফোনে মেয়র মো. শাহনেওয়াজ আলী প্রায় ১৫ মিনিটের এক স্বাক্ষাতকারে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। এসময় প্রথম শ্রেণির পৌরসভার মেয়র হিসেবে শাহনেওয়াজ আলী কঠোরভাবে প্রশ্নগুলোর উত্তর দেন। নিচে ওই সাংবাদিকের করা প্রশ্ন ও মেয়র শাহনেওয়াজ আলীর দেওয়া উত্তরগুলো তুলে ধরা হলো।
প্রশ্ন-১: পৌরবাসীর কাছে আপনার জনপ্রিয়তা বর্তমানে কেমন রয়েছে এবং জনপ্রিয় হওয়ার পেছনে কারণ কি?
মেয়র শাহনেওয়াজ: একজন মানুষের জনপ্রিয়তা হয় তার আচার-আচরণ, ব্যবহার ও তার কর্মের ফলে। আমার পৌরসভার কাজগুলো আমি সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করেছি। পৌরসভায় কোন প্রকার দূর্নীতি অরাজকতা হওয়ার সুযোগ আমি কোনভাবেই কাউকে দেইনি। মানুষের চাহিদা আমি তাৎক্ষণিকভাবে পূরণ করার চেষ্টা করেছি। আমার সততা, নিষ্ঠা আচার ব্যবহারেই আমার জনপ্রিয়তা রয়েছে মানুষের মাঝে।
প্রশ্ন-২: আগামীতে পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হলে কি কি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবেন?
মেয়র শাহনেওয়াজ: পৌর সদরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া নদীর ভাঙনরোধে ২ কোটি টাকার বরাদ্দ বাস্তবায়ন করসহ চাঁচকৈড় গরু হাটা রাস্তা থেকে ওই নদী পর্যন্ত রাস্তা পাকাকরন এবং পৌর মার্কেট করার জন্য জায়গা ক্রয় করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। ইতিমধ্যে আবর্জনা ফেলার জন্য জায়গাও ক্রয় করেছি। আরো অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। পৌরসভার রাস্তা ড্রেন মোটামুটি সব কিছুই করেছি। কিছু রাস্তার কাজ বাঁকি রয়েছে। তফসিল ঘোষণার কারনে সেগুলো বন্ধ রয়েছে। সেগুলো করতে পারলে আমি মনের দিক থেকে তৃপ্তি পেতাম। আগামীতে এগুলো বাস্তবায়ন করব ইনশাআল্লাহ।
প্রশ্ন-৩: এবারের পৌর নির্বাচনে এমপি আব্দুল কুদ্দুসের ঘোষণাকৃত মেয়র প্রার্থী আরিফুল ইসলাম বিপ্লবের সমর্থণে অনুষ্ঠিত প্রায় জনসমাবেশে আপনার প্রসঙ্গে জনসম্মুখে বিভিন্ন বক্তব্য রাখা হচ্ছে, এতে এলাকায় আপনার বর্তমান অবস্থান কেমন?
মেয়র শাহনেওয়াজ: ১৯৯৯ সালের পৌর নির্বাচনে আরিফুল ইসলাম বিপ্লব মেয়র প্রার্থী ছিলো এবং নির্বাচনে মাত্র ১৫১ ভোট পেয়েছিলো। এছাড়াও বিশ্বরোডের পাথর ও রড চুরির মামলা রয়েছে তার নামে। বিপ্লবের পিতা পৌরসভার বিরোধিতা করেছিলো সেই সময়। এমপি সাহেব বিগত সময়েও বিএনপির নির্বাচন করেছেন আমজাদকে সমর্থন দিয়ে। এবারো বিপ্লবকে সমর্থন দিয়ে বিএনপির আমজাদের জন্য কাজ করার চেষ্টা করছে। বিগত দুইবার আমজাদ চেয়ারম্যান বিপুল ভোটে পরাজিত হয়েছে। তখন তিনি বিএনপির প্রার্থী ছিলেন। আর এবার তো তার কোন দলই নেই। যার জন্য আমজাদ চেয়ারম্যানের গ্রহণযোগ্যতা নেই বললেই চলে। তবে জনগন বিগত নির্বাচনে আমাকে জয়ী করে প্রমান দিয়েছে। আমার জনপ্রিয়তা হচ্ছে, আমি দুইবারের নির্বাচিত উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং দু’বার জনগণের বিপুল ভোটে পৌর মেয়র নির্বাচিত হয়েছি। এবারো ন্যায়ের জয় সর্বত্র প্রমান করে দিয়ে জনগণ আমাকেই মেয়র নির্বাচিত করবেন ইনশাআল্লাহ।
প্রশ্ন-৪: আপনাদের দলীয় অভ্যন্তরিন কোন্দলে নেতাকর্মিরা আজ বিভক্ত হয়ে পড়েছে, এ ব্যাপারে কি বলবেন?
মেয়র শাহনেওয়াজ: গুরুদাসপুরে আওয়ামীলীগ বলতে একটাই গ্রুপ রয়েছে। তবে এমপি মহোদয় নিজেই একটা গ্রুপ। গুরুদাসপুরে আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ সব একসাথে। তবে এমপি সাহেব ভিন্নদিকে। কিছু মানুষজন এমপি সাহেবের সাথে রয়েছে। তবে হালুয়া লুটের জন্য। ক্ষমতা না থাকলে এমপি তার পাশে কাউকেই খুজে পাবেন না।
প্রশ্ন-৫: আপনার দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আশা কেমন রয়েছে?
মেয়র শাহনেওয়াজ: ইনশাআল্লাহ আমি নমিনেশন পাবো এবং নমিনেশন পেলে মেয়রও নির্বাচিত হবো। আমি প্রতীক পেলে আওয়ামীলীগের আর কোন প্রার্থী মাঠে থাকবে না। বরং অতীতের চেয়ে এবার বেশি ভোট পাবো শতভাগ আশাবাদী।
প্রশ্ন-৬: ২০২০ সালের মহান বিজয় দিবস পালন করছেন কিভাবে?
মেয়র শাহনেওয়াজ: ১৬ ডিসেম্বর উপলক্ষে সরকারি যেসব প্রোগ্রাম রয়েছে সেসব কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি দলীয়ভাবেও সকল কর্মসূচি পালনের জন্য আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।