মৌলভীবাজারে ধর্ষনের অভিযোগে যুবককে পুলিশে সর্পোদ

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার জগৎসী জি,কে,এম এস আর স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রী (১৬) ধর্ষণের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বখাটে নাইম আহমদকে পুলিশের নিকট সর্পোদ করলো এলাকাবাসী। ঘটনার পর থেকে বিষয়টি ধামা চাপা দেওয়ার জন্য এলাকায় সালিশী বৈঠক বসে। কিন্তু জগৎসী জি,কে,এম এস আর স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা সালিশী বৈঠকের বিরোধীতা করলে এলাকায় গন্যমান্য ব্যক্তিগন ধর্ষণের চেষ্টার বিষয়টি সালিশ যোগ্য নয় বলে একমত পোষন করে অভিযুক্তকে পুলিশের নিকট সর্পোদ করেন। উলে¬খ্য- গত ৫ ডিসেম্বর আনুমানিক সকাল ৮ টায় প্রতিদিনের মতো গয়ঘড় তার নিজ বাড়ি থেকে স্যারের বাসায় প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে বখাটে যুবক নাইম আহমদ (২২) জগৎসী গ্রামের শেখ বাড়ি ও খাঁন বাড়ির মাঝা মাঝি স্থানে রাস্তায় তার পথ রোধ করে নাম জিজ্ঞাস করে। ভিকটিম ভয়ে সরে যেতে চাইলে নাইম আহমদ তার হাত ঝাপটে ধরে। সকাল বেলা জনশূন্য এলাকা থাকায় ভিকটিমের মুখ চেপে ধরে পাশের জংগলে নিয়ে গিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা করে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ভিকটিম নাইম আহমদের হাত থেকে মুক্ত হয়ে রাস্তার উপর হারুনুর রশীদ নামে এক ব্যক্তিকে পেয়ে বিষয়টি বলার পর তিনি তাকে ভিকটিমের বান্ধবীর পিতা জাহিদ মিয়ার বাড়িতে নিয়ে যান। এখানে উপস্থিত লোক জন অপরাধীকে সনাক্ত করতে মোবাইলে কিছু ছেলের ছবি তাকে দেখালে সে ছেলেটিকে সনাক্ত করে। উপস্থিত লোক জন ছবির ছেলেটিকে জগৎসী গ্রামের জামাল মিয়ার ভাগনা বখাটে নাইম আহমদ বলে সনাক্ত করেন। । সে তার মামার বাড়িতে থাকে। ঘটনার পর থেকে ভিকটিম মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে সদর থানার এস আই শরিফ উদ্দিন সদর হাসপাতালে গিয়ে ভিকটিমের বক্তব্য গ্রহন করেন। এব্যপারে জৎগসী জি,কে,এম,এস আর স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল ফজলুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন,ঘটনাটি ভিকটিমের পরিবার থেকে আমাকে জানানো হয়নি। আমি লোক মারফতে জানতে পেরে ১১নং মোস্তফাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মিলাদ হোসেন ও ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার জাবেদ আহমদ সাথে কথা বলেছি। মৌলভীবাজার ২৫০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের আর,এম,ও ডা: ফয়ছল আহমেদ বলেন, ভিকটিমের প্রয়োজনীয় ডাক্তারী পরীক্ষা করা হয়েছে। গত ৬ ডিসেম্বর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ অফিসার ইনচার্জ ইয়াছিনুল হক এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন- ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ দেওয়া হয়নি। এছাড়া সোমবার এলাকায় সালীশী বৈঠক বসবে বলে তিনি জানিয়ে ছিলেন। ভুক্তভোগী সুত্রে প্রকাশ- ভিকটিম এর পরিবার সদর মডেল থানায় মামলার জন্য গিয়েছিল। সে সময় থানার ডিউটি অফিসার সালিশী বৈঠকের অপেক্ষার জন্য পরামর্শ দিয়েছিলেন। ভিকটিম এ সিদ্ধান্ত মানতে রাজি ছিলনা। সে গ্রাম্য সালিশের বিচার সে চায়না। এর আগেও লম্পট নাইম আহমদ আরো একটি মেয়ের সাথে এরকম কাজ করেছে। প্রায় সময় রাস্থায় সে মেয়েদেরে উত্যক্ত করে। জগৎসী জি,কে,এম,এস আর স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা লম্পট নাইম আহমদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবীতে আগামী ৮ডিসেম্বর মঙ্গলবার মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সামনে সকাল ১১টায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করার সিন্ধান্ত নিয়েছে।