১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট
ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়ক রক্ত ভেজা !
নিষ্ঠুর আক্রমণ
হায়রে ঘাতকের দল !
বড়ই নির্মম !
বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর
বঙ্গালীর হুস ফিরেছে।
রাজনীতি জীবন বড় রূঢ় !
ওরা মতলব বাজ !
পিতা, মাতা কাউকে ছাড়ে না
সুযোগ মতো ঝাপিয়ে পরে।
বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।
লুটপাটের দরজায় কড়া নাড়ে !
ওদের অন্ধ কারের মধ্যে বসবাস।
উস্কানিতে করতে পারে জীবন পাত !
কঠোর থেকে কঠোরতম প্রতিজ্ঞা সাবধান !
এমনি করে আর কত জীবন
বাংলাদেশ করবে দান ?
তিনি বাংলাদেশের সাহসী স্থপতি
আত্মত্যাগের বীর প্রতীক !
সাধারণ মানুষের স্বপ্ন দ্রষ্টা
বিশ্ব-পুঁজির দরবারে নিজেকে না সঁপে
বাঁচার লড়াইয়ে প্রেরণা নির্ভরতার
ভরসাহীনতার খেলায় না ডুবে
স্বপ্নহীনতার ভয়ংকর পরিনতি থেকে
স্বপ্ন দেখায় বাঁচিয়েছে সেই মহান পুরুষ !
অনেক যতেœ বাংলার
মানচিত্রের বুকে অপ্রত্যাশিত রক্তক্ষরণ !
সোনার অক্ষরে লেখা রবে নামটি
হায়রে তাকে হারিয়ে! হয়েছি হতভাগ্য জাতি।
সকল ধ্যান-জ্ঞানে ও সংগ্রামে
দিয়েছিলে আত্মহুতি।
নতুন প্রজন্মের কাছে অমর
রেখে যাব তোমার কীর্তি।
বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু একই সুত্রে গাঁথা
ধর্ম, বর্ণ, ভাষা ও সংস্কৃতি।
সুজলা,সুফলা,শস্য, শ্যামলা
উজান-ভাটির নৌকা,
মা-মাটির দেশ।
সবই তোমার সৃষ্টি।
তুমি চিরজাগ্রত
তুমি অক্ষয় মৃত্যুঞ্জয়ী।
আবহমান বাংলার প্রাণ প্রবাহ
পাখির গানে, নদীর কলতানে
পতাকার রক্তসূর্য্য।
ভোরের শিশিরে বাতাসের গন্ধে
সকল ঢেউয়ের আগে
শরতের সকালে, বসন্ত উল্লাসে।
হাসি-কান্না, মিলনে-বিরহে!
মনে ও মননে সর্বদাই জীবন্ত।
চেতনায় বিশালতায় যার অবস্থান।
কোন দিন ও মোরা করব নাকো তাকে অসম্মান
স্পর্ধা নেই তাকে তুলে ধরার
মোরা বাঁচি।
হৃদয়ের অ্যালবামের অক্ষমতা, তাকে মুছি তাই!
তবুও মহৎ প্রাণ
মুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুক্তিদাতার গান গাই।
তার জ্বালানো আলোতেই
আগামী প্রজন্মের পথিকের পথ দেখাই
গর্বে বুক ফুলিয়ে
তার আদর্শের বার্তা শোনাই।
অহংকারে বলি, আমরা তারই উত্তরাধিকার!
বাঙালির অস্তিত্ব থেকে প্রিয় নামটি
যারা নস্যাৎ করতে চায়।
সোনার বাংলা ধ্বংস করতে তারাই গোপনে ধায়।
আমরা আছি তবু তোমার দেশ রক্ষায়
বঙ্গবন্ধু তুমি আছো বাংলার প্রতিটি মানুষের হিয়ায়।
(সংক্ষিপ্ত)