ইকবাল কবীর রনজু, চাটমোহর :;
ইরান, দুবাই, গ্রীসসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ২৬ বছর প্রবাস যাপন করার পর দেশে ফিরেন পাবনার চাটমোহর পৌর সদরের মধ্যশালিখা মহল্লার মৃত দবির উদ্দিন আহম্মেদ এর ছেলে মোঃ জাহিদ হোসেন ই¯্রাফিল। সর্বশেষ ২০১১ সালে বিদেশে থেকে দেশে ফেরার পর আর বিদেশে যান নি তিনি। দেশেই কিছু একটা করার চিন্তা করেন। শুরু করেন ডিমের ব্যবসা। পরে মুদি সামগ্রীর এজেন্সী নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। পোল্ট্রি খামার ও করেন। কিন্তু কোনটিতেই সফলতা না পেয়ে যখন তিনি হতাশায় ভূগছিলেন এমন সময় কৃষি কাজ করতে মনস্থ করেন। বছর তিনেক পূর্বে সম্পৃক্ত হন কৃষি কাজের সাথে। আগ্রহী হয়ে ওঠেন সবজি আবাদে। ২০২০ সালের জানুয়ারী মাসে পটল চাষ শুরু করেন। মাত্র দেড় বিঘা জমিতে পটল চাষ করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি।
জাহিদ হোসেন জানান, পটল চাষ করে মাত্র দশ মাসে সফলতা পেয়েছেন তিনি। বাড়ছে সংসারের স্বচ্ছলতাও। দেড় বিঘা জমির চার পাশে জাল ও তারের বেড়া দিয়েছেন। পটলের লতা রোপণের পর বাঁশের মাচা তৈরী করে গাছ গুলো উঁচু মাচায় তুলে দিয়েছেন। সব মিলিয়ে দেড় বিঘা পটল চাষে ১ লাখ টাকা খরচ হয়েছে তার। লতা রোপণের দুই মাস পর থেকেই পটল সংগ্রহ শুরু করেন তিনি। এ পর্যন্ত প্রায় সোয়া ৩ লাখ টাকার পটল বিক্রি করেছেন। জৈব সারের পাশাপাশি সামান্য পরিমাণে কীটনাশক ব্যবহার করেন তিনি। এ জমি থেকে প্রতিদিন প্রায় ১ মণ পটল উত্তোলন করছেন তিনি। বর্তমানে প্রতি কেজি পটল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা দরে পাইকারী বিক্রি করছেন তিনি। পটলের পাশাপাশি তিনি বেগুন, মরিচ, ফুলকপি , বঁধাকপি সহ নানা সবজির চাষ করছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এ বছর পটলের লতায় ত্রিশ হাজার কলম দিবেন তিনি। ইতিমধ্যে দশ হাজার কলমের চারার অর্ডার পেয়েছেন তিনি। আরো জমি লীজ নিয়ে এক বিঘায় বেগুন, ১ বিঘায় কলাসহ দুই বিঘা জমিতে ফুলকপি , বঁধাকপি, ওলকপি আবাদ করেছেন তিনি। তিনি তার উৎপাদিত সবজি চাটমোহর ও ভাঙ্গুড়ার বিভিন্ন আড়তে বিক্রি করেন।
চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ.এ মাসুম বিল্লাহ জানান, এ বছর সবজির দাম বেশি পাওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষক। নতুন পটল চাষ শুরু হয়েছে। কৃষকেরা জমিতে পটলের লতা লাগাচ্ছেন। ইতিমধ্যে ৫২ হেক্টর জমিতে লতা লাগানো হয়েছে। রোপন অব্যাহত আছে।