রফিকুল ইসলাম সুইট : পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ বলেছেন- করোনা মহামারি প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে পরিকল্পিত কাজ করছে বর্তমান সরকার। যথাযথা পদক্ষেপ নেয়ার পরেও করোনা প্রকোপে দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে শিক্ষায়। বড় সংখ্যক শিক্ষার্থী ঝড়ে পরার সম্ভাবনা রয়েছে। সরকার শিক্ষার্থী এবং শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে সর্তকতার সাথে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। সরকারের সিদ্ধান্তের বাইরে গেলে বড় ধরণের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারি সিদ্ধান্তের বাইরে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষক কোন ধারণের পরীক্ষা, ক্লাস, কোচিং, প্রাইভেট কার্যক্রম করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। সরকারে নির্দেশনা অনুযায়ী স্কুলগুলোতে এ্যাসাইনমেন্ট নেয়া হচ্ছে বেশকিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ্যাসাইনমেন্ট এর নামে টাকা নেয়া হচ্ছে যা বিধিমোতাবেক নয়। স্কুলে এ্যাসাইনমেন্ট এর নামে টাকা নিলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রবিবার সকালে পাবনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভাসুত্রে জানাযায় “নো মাস্ক নো সার্ভিস” “করোনা মোকাবেলা কার্যক্রম” বাস্তবায়নে আগামী মঙ্গলবার সকল উপজেলায় জনসচেতনার জন্য মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে। পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার জন্য পিসিআর ল্যাব স্থাপনের কাজ চলছে। পাবনা মানসিক হাসপাতালে বিশ্বমানের করার কাজ চলছে। সরকারি সিদ্ধান্তের বাইরে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষক কোন ধারণের পরীক্ষা, ক্লাস, কোচিং, প্রাইভেট কার্যক্রম করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন।
পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ এর সভাপতিত্বে সভায় এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আতিয়ুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. মেহেদী ইকবাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা মোসলেম উদ্দিন, জেলা সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোেসেন, বাসস ও ভোরের কাগজ প্রতিনিধি সহকারী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম সুইট, জেলা কালচারাল অফিসার মারুফা মঞ্জুরী খান, বিআরডিবির চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার রেইনা, আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তানভির ইসলাম, অধ্যক্ষ জমিদার রহমান প্রমুখ ।