বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের বড় দায়িত্বে রয়েছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরিবারের পাঁচ সদস্য। যুবলীগ নিয়ে নানা বিতর্কের পর এবার জাতির জনকের পরিবারের সদস্যরা নেতৃত্বে থাকায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
গত বছর ২৩ নভেম্বর জমকালো কংগ্রেসের মধ্য দিয়ে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত হয়। যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনির সন্তান শেখ ফজলে শামস পরশ সংগঠনের চেয়ারম্যান হন। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় মাইনুল হোসেন খান নিখিলকে। শনিবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংগঠনটির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
যুবলীগের কমিটিতে বঙ্গবন্ধু পরিবারের চার উদিয়মান রাজনৈতিক মুখের স্থান হয়েছে। যুবলীগ চেয়ারম্যান ছাড়াও এদের মধ্যে রয়েছেন মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, শেখ ফজলে ফাহিম, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাইম ও শেখ সোহেল।
সংগঠনের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ভাগ্নে ও যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনির বড় ছেলে। পরশের ছোট ভাই ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ফজলে নূর তাপস। যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ছেলে। তার ছোট ভাই যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাইম।
শেখ ফজলে ফাহিম যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশের আপন চাচাতো ভাই। যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা ফজলুল হক মনির আপন ছোট ভাই হন এই শেখ ফজলে ফাহিমের বাবা শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
আবার বঙ্গবন্ধু পরিবারের অপর সদস্য যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ফরিদপুর-৪ আসনের এমপি মুজিবর রহমান চৌধুরী নিক্সন। এমপি নিক্সনের দাদি ফাতেমা ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আপন বড় বোন। সেই হিসাবে তিনি বঙ্গবন্ধুর নাতি।
এছাড়া বঙ্গবন্ধুর ছোট ভাই শেখ আবু নাসেরের ছোট ছেলে শেখ সোহেলও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হয়েছেন।