ইয়ানূর রহমান : শার্শায় পুলিশের বিরুদ্ধে উঠেছে চার্যসিট বানিজ্যের
অভিযোগ। ২৫হাজার উৎকোচ দিয়েও রেহাই পাইনি মিথ্যা মাদক মামলা আসামি কালাম।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, শার্শার সামটা গ্রামের পোষ্ট অফিসের সামনে হতে গত
৬ মাস পূর্বে বাঘাডাঙ্গা গ্রামের হাফিজুর রহমান ফেনসিডিল সহ আটক হয়। ঐ
সময় শার্শা থানায় একটি মাদক আইনে মামলা হয়। পুলিশ মাদক সহ হাফিজুরকে আটক
করলেও সামটা গ্রামের আওয়ামীলীগ কর্মী কালাম হোসেনকে জড়িয়ে শার্শা থানায়
মামলা দায়ের করে। পরে মামলার চার্যসিট থেকে বাদ দেয়ার নামে বাগআঁচড়া
পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের (সাবেক) এসআই আব্দুর রহিম হাওলাদারের উপস্থিতিতে
এএসআই মাসুদ ২৫ হাজার টাকা উৎকোচ নেন। অথচ, মামলার চার্জসিট হতে কালাম
হোসেনের নাম বাদ দিয়ে তথ্য বিবরনী আদালতে প্রেরন করে।
এদিকে, চার্যসিটের ভিত্তিতে কালামের নামে আদালত হতে ওয়ারেন্ট জারি হয়।
এবং এএসআই মাসুদ পরবর্তীতে কালামকে আটক করে আদালতে প্রেরন করে। যার ফলে
তাকে ৪ মাসের হাজতবাস করতে হয়।
উৎকোচ লেন-দেনের মধ্যস্ততাকারী ইদ্রিস আলী জানান, মিথ্যা মামলা হতে
বাঁচার জন্য কালাম হোসেন আমার বাড়িতে এসে পুলিশের সাথে দেনদরবার করার
জন্য অনরোধ করেন। ঘটনার ২২দিন পরে মামলার চার্যসিট হতে কালামের নাম বাদ
দিতে পুলিশ মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। ঐ সময় এসআই আব্দুর রহিম
হাওলাদারের উপস্থিতিতে এএসআই মাসুদের হাতে ২৫ হাজার টাকা দেয়া হয়। এ সময়
একই গ্রামের দুধূলী নামের এক ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে দুধূলরি কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একে মিথ্যা মামলার আসামি
করেন এএসআই মাসুদ ! তারপরেও ২৫হাজার টাকা দিয়েও রেহাই পেলনা কালাম