শিশুদের সর্বোত্তম উচ্চতা অর্জনে সহায়তা করা পিতা-মাতাদের প্রায়ই একটি বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। দেখা যায়, অধিকাংশ মা-বাবা উপলব্ধি করে না বাচ্চাদের উচ্চতা নিয়ে। যদিও কম উচ্চতা হওয়ার মধ্যে অবশ্যই কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু এই উচ্চতা নিয়ে অনেক সময় শিশুরা বিব্রতকর পরিস্থিতিতেও পড়তে পারে।
তাই শিশু সঠিকভাবে উচ্চতা বাড়ছে কি না সেদিকে নজর রাখতে হবে মা-বাবাকেই। মা-বাবার তুলনায় যদি সন্তানের বৃদ্ধির গতি বেশি মনে হয় তবু তার বয়সী অন্য শিশুদের সঙ্গে তুলনা করে দেখুন।
গবেষণায় দেখা গেছে, একমাত্র খাবারই বেড়ে ওঠার বছরগুলোতে একজন শিশুর উচ্চতাকে প্রভাবিত করতে পারে। উচ্চতার জন্য তিনটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্ধারণকারী উপাদান হলো- জিন, খাদ্য ও জীবনধারা। আপনি আপনার বাচ্চাদের কাছে প্রেরিত জেনেটিক গঠনটি পরিবর্তন করতে পারবেন না, তবে অন্য দুটি কারণগুলোর যত্ন নেওয়া হচ্ছে কি না তার খেয়াল রাখতে পারেন।
শিশুদের উচ্চতা বাড়ানোর ৬টি সহজ কৌশল নিচে দেওয়া হলো-
সামগ্রিক বৃদ্ধির জন্য সুষম খাদ্য: শিশুদের উচ্চতা বাড়ানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হলো শরীরে সঠিক পুষ্টি পৌঁছানো। সুষম ডায়েটে সঠিক অনুপাতে প্রোটিন, শর্করা, চর্বি এবং ভিটামিনের মিশ্রণ হওয়া উচিত।
শরীরচর্চা: শিশুদের কিছু সাধারণ শরীরচর্চা শেখানো উচিত। এটি তার উচ্চতা বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে সহজতর করবে। প্রসারিত মেরুদণ্ডকে দীর্ঘায়িত করতে এবং আপনার সন্তানের শারীরিক গঠন উন্নত করতে সহায়তা করে।
স্কিপিং: স্কিপিং বা দড়ির লাফ একটি মজাদার শরীরচর্চা যা শিশুদের কাছে আরও বেশি খেলার মতো অনুভূত হয়, এটি হৃৎপিণ্ডসহ পুরো দেহে কাজ করে এবং উচ্চতা বাড়াতে সাহায্য করে।
হ্যাংগিং: উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য হ্যাংগিং মেরুদণ্ডকে দীর্ঘায়িত করতে সহায়তা করে যা লম্বা হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। নিয়মিত হ্যাংগিং ছাড়াও শিশুদের পুলআপ এবং চিনআপস করতেও বলতে পারেন।
সাঁতার: সাঁতার আরেকটি স্বাস্থ্যকর এবং মজার শরীরচর্চা যা আপনার শিশুদের সামগ্রিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। নিয়মিত সাঁতার কাটলে মেরুদণ্ড শক্তিশালী হয় এবং উচ্চতা বৃদ্ধি পায়।
ভালো ঘুম: রাতে একটি ভালো ঘুম কেবল বড়দের জন্য নয়, শিশুদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। তাই শিশুদের সুস্থ এবং শক্তিশালী রাখার জন্য প্রতি রাতে তার অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করতে হবে।