কদবেল

বাংলাদেশে বাউকদবেল-১ ও বারিকদবেল-১ নামের উচ্চ ফলনশীল দুটি জাত পাওয়া যায়। বারিকদবেল-১ নিয়মিত প্রচুর ফল প্রদানকারী জাত। ফল গোলাকৃতি। পাকা ফল সবুজাভ বাদামি বর্ণের। ফলের শাঁস গাঢ় বাদামি ও মধ্যম রসালো, আঁশের পরিমাণ কম, স্বাদ টক-মিষ্টি। গাজীপুর, ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় বেশি জন্মে।

এতে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও স্বল্প পরিমাণে লৌহ, ভিটামিন বি১, বি২ ও ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। প্রতি ১০০ গ্রাম কদবেলে ৮৫.৬ গ্রাম জলীয় অংশ, ২.২ গ্রাম খনিজ পদার্থ, ৫.০ গ্রাম হজমযোগ্য আঁশ, ৩.৫ গ্রাম আমিষ, ৮.৬ গ্রাম শর্করা, ০.৬ মিলি গ্রাম লৌহ, ৫৯ মিলি গ্রাম ক্যালসিয়াম, ১৩.০মিলি গ্রাম ভিটামিন ‘সি’ এবং ৪৯ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি পাওয়া যায়।

কদবেল যকৃত ও হৃদপিণ্ডের বলবর্ধক হিসেবে কাজ করে। বিষাক্ত পোকা-মাকড় কামড়ালে ক্ষত স্থানে ফলের শাঁস এবং খোসার গুঁড়ার প্রলেপ দিলে ভালো ফল পাওয়া যায়। কচি পাতার রস দুধ ও মিসরির সঙ্গে মিশিয়ে পান করলে শিশুদের পিত্তরোগ ও পেটের পীড়া নিরাময় হয়।