যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন ও গণমাধ্যমের ভূমিকা


মার্কিন নির্বাচন ২০২০ জো বাইডেনের জনপ্রিয়তা কতটুকু তা সবার জানা হয়ে গেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের নানা কর্মকাণ্ড প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। মার্কিন নির্বাচন বিশ্ব রাজনীতির ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ। ডোনাল্ড ট্রাম্প যে প্রভাব খাটাতে চেয়েছিলেন গণমাধ্যমের শক্তিশালী ভূমিকায় তা সম্ভব হয়ে উঠেনি। প্রেসিডেন্ট সংবাদ সম্মেলন করেছেন এবং এর সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে টিভি চ্যানেলের সাংবাদিকরা। গণমাধ্যম কতটা শক্তিশালী হলে এমনটি করা সম্ভব তা সহজে অনুমেয়।  এমনকি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেসব গণমাধ্যমকে তার মিত্র এবং অনুগত বলে মনে করতেন তারাও আগের মত ভূমিকায় নেই।  তারাও ট্রাম্পের বক্তব্য হুবহু প্রচার করছে না। এমনকি মূল ধারার সংবাদ মাধ্যম সিএনএন, বিবিসি তার বক্তব্য হুবহু প্রচার করছে না। ট্রাম্প সঠিক তথ্য দিচ্ছেন কিনা সে বিষয়ে গণমাধ্যমগুলি সতর্ক অবস্থান নিয়েছে।  গণমাধ্যমগুলি এত বড় প্রভাবশালী নেতার বক্তব্য চুলচেরা বিশ্লেষণ করে তবে প্রচার করছে। ভিত্তিহীন বক্তব্য হলে সেটা প্রচার করছে না।  এ থেকে সহজে অনুমান করা যায় সেখানকার সংবাদ মাধ্যমের সক্ষমতা। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় স্বাধীন গণমাধ্যম যে কতটা ভুমিকা রাখতে পারে তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে বুঝা গেলো। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা যে কমে গিয়েছিলো সেটা বিভিন্ন জরিপে উঠে এসেছিলো। ট্রাম্প নিজেও অনুমান করতে পেরেছিলেন। কিন্তু মার্কিনীরা বুঝিয়ে দিলো যে তাদের ভোট কতটা গুরুত্ব বহন করে। জন বাইডেন যে শুধু নিজের বা তার দলের জনপ্রিয়তার কারণে জিতেছেন তা কিন্তু নয়। ট্রাম্পের নানা প্রকার প্রশ্নবিদ্ধ পদক্ষেপের কারণেও বাইডেনের এগিয়ে যাওয়ার আরেকটি কারণ।  জন বাইডেনের জয় বিশ্ব রাজনীতিতে হয়তো ভিন্নমাত্রা যোগ করবে। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষ্য হয়ে থাকলো যে জনগণের রায়ই চূড়ান্ত।  কোন শক্তিই জন রায়কে উপেক্ষা করতে পারে না। বিশ্ববাসী এখন অপেক্ষা করছে জন বাইডেনের গৃহিত পদক্ষেপ দেখার জন্য। লেখক- কবি, ছড়াকার, প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট