বগুড়া জেলা প্রতিনিধি: বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলা আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠ সংলগ্ন একটি বাসায় অভিনব কায়দায় দিনে দুপুরে ছিনতাই এর ঘটনায় সদর পুলিশ ফাঁড়ির অভিযানে ছিনতাই হওয়া মালামাল উদ্ধারপূর্বক রবিবার সকালে গ্রেফতার করা হয়েছে ৩ জনকে। এঘটনায় আদালতে ১ জন আসামী ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীও প্রদান করেছে। গ্রেফতারকৃত ৩ জনকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সদরের মফিজ পাগলা মোড়ের লিটন শেখের ছেলে জনি শেখ (২৮), জলেশ্বরীতলার আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে আইফুল্লাহ রুমন (৩৮) এবং শাজাহানপুর উপজেলার ফুৃলতলার আবুল হোসেনের ছেলে আজাহারুল ইসলাম শান্ত (২৫)। তবে এই ঘটনায় আরো ১ জন পলাতক রয়েছে মর্মেও জানা যায়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর পুলিশ ফাঁড়ির এস.আই খোরশেদ আলম রবি জানান, গত বুধবার দুপুরে শহরের জলেশ্বরীতলা নিবাসী প্রদ্যুৎ কুমারের বাসায় অজ্ঞাতনামা ৪ জন বাসার কলিং বেল চাপে যাদের ৩ জন দরজায় এবং ১ জন রাস্তায় চারিদিকে খেয়াল রাখার দায়িত্বে ছিলেন। এসময় বাড়ির গৃহবধু গেট খুলে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন কি কারণে তারা এসেছেন? উত্তরে তারা বলেন আপনার বাসার পানির লাইনের ত্রুটি রয়েছে। আমাদেরকে সে কারণে পাঠানো হয়েছে। সরল বিশ্বাসে গৃহবধু তাদেরকে ভিতরে প্রবেশ করতে দেন। তারা প্রবেশ করেই মূল দরজা আটকিয়ে দেন এবং গৃহবধু শুক্লা সাহা ও তার ছেলে সুমন্ত সাহা (১৪) এর গলায় ধারাল চাকু ধরে জিম্মি করে ফেলেন সেই সাথে ভয়ভীতি দেখিয়ে চিৎকার-চেচামেচি করতে নিষেধ করে ধৃত আসামীরা। আসামীরা প্রদ্যুৎ কুমারের ঘরে থাকা ৬৫ হাজার টাকার ৪০ ইঞ্চি এলইডি টিভি, মোবাইল ফোন এবং একটি চেইনমালা জোরপূর্বক নিয়ে চলে যায়।
উক্ত ঘটনায় বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবীর এর দিক-নির্দেশনায় এবং সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ এর নেতৃত্বে এস আই খোরশেদ আলম রবি, এএসআই আলমাস আলী, এটিএসআই শফিকুল ইসলাসসহ সঙ্গীয় ফোর্সের শহরের বিভিন্ন জায়গায় পরিচালিত অভিযানে অবশেষে রবিবার সকালে তদন্তের প্রেক্ষিতে এই ৩জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয় এবং ডাকাতিকৃত এলইডি টিভিও উদ্ধার করা হয়েছে এই অভিযানে।
এ বিষয়ে বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবীর জানান, উক্ত ঘটনার সাথে মোট জড়িত ছিল ৪ জন যাদের মাঝে পুলিশের অভিযানে ৩জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । তাদের বিরুদ্ধে ছিনতাই এর মামলা দিয়ে রবিবার দুপুরের পর তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং আসামীদের মাঝে আজাহারুল ইসলাম শান্ত আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীও প্রদান করেছে মর্মে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সেই সাথে তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদের মাঝে রুমন এর বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং তাদের একটি চক্র কিশোর গ্যাং এর মাধ্যমে বিভিন্ন অপরাধের সাথেও যুক্ত ছিল মর্মে জানা যায়। সদর ওসি হিসেবে তিনি আবারো সকলকে সময় থাকতে সাবধান হয়ে অপরাধ জগত থেকে ফিরে আসার আহ্বান জানান নইলে আইনের হাত থেকে শেষ রক্ষা হবেনা মর্মেও হুশিয়ারি দেন এই কর্মকর্তা।