বগুড়া শহরের সাতমাথায় বিকাশের টাকা তোলা নিয়ে বগুড়া জিলা স্কুলের এক সাবেক শিক্ষার্থীর সাথে শহরের সপ্তপদী মার্কেটের এক দোকানদারের খারাপ ব্যবহার ও গায়ে হাত তোলাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর শহরের সাতমাথায় এক উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে মর্মে জানা যায়।
ঘটনাস্থলসূত্রে পুরো ঘটনা জানা না গেলেও প্রাথমিকভাবে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর বগুড়া জিলা স্কুলের এক সাবেক শিক্ষার্থী ও বর্তমান ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র সামি শহরের সপ্তপদী মার্কেটের এক বিকাশের দোকান থেকে তার নিজের বিকাশ এ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন করে সেই টাকাগুলো খুচরা দিতে বলে। কিন্তু খুচরা নেই মর্মে সেই দোকানদার সামির সাথে কিছুটা উত্তেজিত হয়ে কথা বলে, সামি তখন উত্তেজিত কেন হচ্ছে জিজ্ঞেস করলে দুইজনের মাঝে বাকবির্তন্ডা শুরু হয় যার এক পর্যায়ে সামিেেক ধাক্কা দেয় সেই দোকানদার। পরবর্তীতে সামির সাথে ছোট্ট বিষয়টি বড় পর্যায়ে চলে যায় এবং সামি নামের সেই শিক্ষার্থীও তাকে ধাক্কা দেওয়ার প্রতিবাদ জানালে দোকানদার মার্কেটে হইচই শুরু করে এবং শিক্ষার্থীকে দোকনে আটকে রাখে মর্মে শোনা যায়। এদিকে বগুড়া জিলা স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থীর সাথে দ্বন্দ্বের এই কথা জানতে পেরে পাশেই স্কুলের মাঠে থাকা বিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান বিভিন্ন ব্যাচের প্রায় ২’শ শিক্ষার্থী উত্তেজিত হয়ে মার্কেটে প্রবেশের চেষ্টা করে যাতে করে পুর্ োসাতমাথায় এক আতঙ্কিত পরিবেশের সৃষ্টি হয়ে যায়। পরে সদর ওসি হুমায়ুনের নেতৃত্বে সদর পুলিশ ফাঁড়ির এস.আই খোরশেদ আলমেরসহ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যবৃন্দ এবং সদর থানার পুলিশ সদস্যদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ ব্যাপারে বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বগুড়া জিলা স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থীর সাথে সপ্তপদী’র দোকানদারের দ্বন্দ্বের ঘটনা থেকেই উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। পুলিশ শহরের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে নিরপেক্ষভাবে ভূমিকা রেখেছে। উক্ত ঘটনায় প্রাথমিকভাবে রেজাউল নামে এক দোকানদারকে আটক করা হয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের পক্ষে অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে মর্মেও জানায় ওসি হুমায়ুন। অভিযোগ প্রাপ্তির পর সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সুরাহা করা হবে মর্মেও প্রতিশ্রুতি দেন এই কমকর্তা।