বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: বিশ্বনাথে একটি ওয়ার্ডে উপ-নির্বাচন মাত্র ১৯ টি ভোট নিয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ওয়ার্ডটি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড।আগামী ২০ অক্টোবর এই ওয়ার্ডে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে উপজেলা নির্বাচন অফিস।কিন্তু ওয়ার্ডের ছয়টি ভোটার এলাকার মধ্যে চারটি ভোটার এলাকা পৌরসভায় অর্ন্তভূক্ত হয়েছে। আর বাকি দুইটি ভোটার এলাকায় ভোট রয়েছে মাত্র ১৯টি।জানা গেছে, গত ২৭ এপ্রিল দৌলতপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান ছোরাব আলীর মৃত্যূবরণ করলে ওই ওয়ার্ডের সদস্য পদ শুন্য হয়।এরপর নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী ৫ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীকও বরাদ্ধ দেয়া হয়। কিন্তু, ওই ওয়ার্ডে চড়চন্ডি, ছত্রিশ উত্তর, মিয়াজনের গাঁও, হাবড়া, নতুন হাবড়াবাজার, পুরান হাবড়াবাজার নামে ছয়টি ভোটার এলাকায় মোট ভোট সংখ্যা ২ হাজার ৭৫১জন। এরমধ্যে নতুন হাবড়াবাজার, পুরানহাবড়া বাজার ছাড়া বাকি ৪টি ভোটার এলাকা নবগঠিত বিশ্বনাথ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডে অর্ন্তভূক্ত হয়েছে। আর ওয়ার্ডে বাকি থাকে নতুন হাবড়াবাজার, পুরান হাবড়াবাজার এলাকা। যার মধ্যে নতুন হাবড়াবাজারে ৫টি ও পুরান হাবড়াবাজারে ১৪টি নিয়ে মোট ১৯টি ভোট রয়েছে।পৌরসভার বাসিন্দারা ভোট দিতে না পারলে ওই ওয়ার্ডে মাত্র ১৯ ভোটার ভোট দিতে পারবেন। এদিকে, নির্বাচনে সাধারণ সদস্য পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। তাদের প্রচার প্রচারণাও ব্যাপক উৎসবমূখর পরিবেশে চলছে।কিন্তু সচেতন মহল বলছেন, ওই ওয়ার্ডে নির্বাচন হলে পরবর্তিতে অনেক নির্বাচনী জটিলতা সৃষ্টি হবে। আর এই জটিলতাকে পুঁজি করে সুযোগ সন্ধানী প্রতিনিধিরা নিজেদের পদে আসীন থাকতে নানা অপচেষ্ঠা চালাতে পারেন।ফলে আটকে যেতে পারে পৌরসভাসহ ৫টি ইউনিয়নের নির্বাচন। এতে করে দূভার্গের কবলে পড়বে ওই এলাকার জণগন। এমন নির্বাচনী জটিলতা দূর করতে চাইলে ওই ওয়ার্ডের নির্বাচন স্থগিত ছাড়া অন্য কোন পথ নেই বলে জানিয়েছেন তারা।এব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন অফিসার গোলাম সারওয়ার সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আগে জানতাম না যে, ওই ওয়ার্ডের একটি বড় অংশ পৌরসভায় অর্ন্তভূক্ত। গত মঙ্গলবার পৌরসভার ওয়ার্ড বিভাজনে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলে বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশন বরাবরে একটি লিখিত পাঠিয়েছি ওই ওয়ার্ডের নির্বাচন স্থগিত করার জন্য।