ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ
‘আমি বর্তমানে খুব বিপদের মধ্যে আছি। যেকোন সময় সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক আমার জীবনহানি ঘটতে পারে। আমার পৈত্রিক সম্পত্তিতে একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ‘মল্লিক এগ্রো ইন্ডাষ্ট্রিজ লিঃ’ নির্মাণ করতে গিয়ে আমার সন্ত্রাসী ভাগ্নে পলাশের দ্বারা বারবার বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছি। মুলাডুলির আরএস ৭৯৯, ৮১০ ও ৮০১ নং দাগের সম্পত্তিতে আমার দুটি সাইনবোর্ডও রয়েছে।’ সোমবার ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এভাবে লিখিত বক্তব্যে ভাগ্নে পলাশকে সন্ত্রাসী উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগ জানিয়েছেন ঈশ্বরদীর মুলাডুলির বাসিন্দা ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন চাঁদ।
তিনি বলেন, উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের মুলাডুলি গ্রামে মালিথা এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে গিয়ে বারবার বাধাগ্রস্ত হয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছি। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, পলাশের মাতা অর্থাৎ আমার বড়ো বোন ওই সম্পত্তিতে কোনক্রমেই ওয়ারিশ নন। ওয়ারিশ সূত্রে আমার বোনেরা যে সম্পত্তি পেয়েছেন তার খতিয়ান নম্বর-১০৮, দাগ নং ৮১৯ এবং জমির পরিমাণ ৮৪ শতাংশ। এই জমির মালিক আমার ১ ভাই ও ৫ বোন। ৩ বোন এই জমি থেকে তাদের অংশ বিক্রি করেছে। এখন এই জমি আমার ও ২ বোনের। এখানে পলাশের মায়ের নামে কোন সম্পত্তি নেই। ভাগ্নে পলাশ একজন সন্ত্রাসী, সে নাটোর জেলায় একটি হত্যা মামলার আসামী। পলাশ বারবার মোবাইলে আমাকে হুমকি দিয়ে আমার পৈত্রিক সম্পত্তি তার বলে অযৌক্তিকভাবে দাবি করে আসছে। ইতিমধ্যে প্রাণনাশেরও হুমকি দিয়েছে জানিয়ে চাঁদ বলেন, এজন্য আমি নিরাপত্তাহীনতায় আছি। এব্যপারে ঈশ্বরদী থানায় জিডিও করা হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, আমি সৎভাবে ব্যবসা করে জীবনযাপন করতে ও জীবনের নিরাপত্তা চাই।
এব্যাপারে জহুরুল হক পলাশের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার নানার সম্পত্তি কাউকে ভাগ না দিয়ে মামা আনোয়ার হোসেন চাঁদ নিজেই ভোগদখল করছেন।