স্টাফ রির্পোটারঃ সুজানগর উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল জব্বার এর বিরুদ্ধে শিক্ষকদের কাছ থেকে বিল পাশ করানোর জন্য এবং স্লিপের বিল পাশ করার ক্ষেত্রে উৎ কোচ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। ভূক্তভোগীরা জানান, উপজেলার ১৪৬ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্লিপ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিল পাশ করার ক্ষেত্রে প্রত্যেক স্কুল থেকে ১০০০/- ( এক হাজার) টাকা করে মোট ১,৪৬,০০০/ টাকা উৎ কোচ গ্রহণ করা হয়েছে। উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর ম্যানেজিং কমিটির স্লিপ পরিকল্পনা অনুযায়ী স্কুলের শিক্ষার্থীদের অনুপাতে প্রতি বছর ৫০ থেকে ৮৫ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ম্যানেজিং কমিটির স্লিপ পরিকল্পনা বর্হিভূত ১৪৩ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২২ ,০০০/- ( বাইশ হাজার ) টাকার প্যাকেজ গ্রহণে বাধ্য করা হয়েছে। এ প্যাকেজের মধ্যে মাত্র ৮/১০ হাজার টাকার মালামাল দেওয়া হয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা জানায়। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ৪৭ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজের ২ লক্ষ টাকার বিল পাশ করার জন্য প্রত্যেক স্কুলের কাছ থেকে ৪৫০০/- টাকা করে অর্থাৎ ২,১১,৫০০ টাকা এবং ৩৪ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজের প্রত্যেক স্কুলের দেড় লক্ষ টাকার বিল পাশ করার জন্য প্রত্যেক স্কুলের কাছ থেকে ৩৫০০/- টাকা করে অর্থাৎ ১,১৯,০০০/- টাকা উৎ কোচ গ্রহন করা হয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষকরা আরও জানান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার অত্যন্ত ধূর্ত প্রকৃতির। তিনি উপজেলার জনৈক ইকবাল মাস্টারসহ কয়েকজন শিক্ষককের মাধ্যমে উপরোক্ত খাতের উৎ কোচ আদায় করেছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল জব্বারকে (০১৭১১-৭০৭১৩৯ নম্বর থেকে তার ০১৭২৪৩২৬৬৬১ নম্বরে ) মোবাইল করা হলে তিনি ঁ বলেন, তিনি কোন বিল পাশ বা স্লিপের টাকা পাশ করতে কোনরকম টাকা গ্রহণ করেন না। তার বিরুদ্ধে এটা ষড়যন্ত্র মূলক অপপ্রচার মাত্র।