স্টাফ রিপোর্টারঃ লাশ রেখে স্বামীর পরিবারের সদস্যদের পলায়ন। ঘটনাটি ঘটে ৮ অক্টোবর পাবনা সদরের চর কোষাখালী ( পশ্চিম পাড়া)। পাবনা থানায় দায়েরকৃত লিখিত এজাহার থেকে জানা যায়, পাবনা সদর থানার দক্ষিণ রামচন্দ্রপুর ( পশ্চিম পাড়া) আব্দুর রহমানের মেয়ে শান্তা ওরফে রতœা (২৩)‘র প্রায় ৬ বছর আগে চর কোষাখালী ( পশ্চিম পাড়া) আক্কাস সরদারের ছেলে রিয়াজুল ইসলাম ওরফে রিয়ার সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের পর তাদের ঘরে মেয়ে সন্তান রাইসা ( ৫) এবং এক ছেলে সন্তান সাব্বির (২) জন্ম গ্রহন করে। রাইসা নানা বাড়ীতে বসবাস করে। বিবাহের পর থেকে যৌতুকের টাকা দাবী করে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে আসছিল। এ বিষয়ে রিয়াজুল ইসলাম এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা প্রায়ই শান্তাকে মারধোর করতো। এ বিষয়ে স্থানীয় মেম্বর, চেয়ারম্যান সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ প্রায় কয়েকবার স্থানীয় ভাবে শালিশ মিমাংশা করলেও উক্ত রিয়াজুল গং রতœাকে প্রায় প্রায়ই বিভিন্ন কারনে অকারনে মারধোর করতো।
গত ৮ অক্টোবর রাত সাড়ে ১১ টার দিকে মেয়ের মামা আমজাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে মেয়ের মা আলেয়া খাতুন ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তাৎক্ষণিক চর কোষাখালী ( পশ্চিম পাড়া) রতœার স্বামীর বাড়ীতে যান। তারা দেখতে পান বাড়ীর ওঠানে রতœার মৃত দেহ পড়ে আছে। রতœার ছেলে তার পার্শ্বে বসে কান্না করছে কিন্তু রিয়াজুল ইসলাম এবং তার পরিবারের সদস্যরা কেউ বাড়ীতে উপস্থিত নাই। সবাই বাড়ী থেকে পালিয়ে গেছে। এমনকি বাড়ীর জিনিষপত্র সহ গবাদি পশুও নেই। এলাকাবাসী জানায়, ঘটনার দিন খেলতে গিয়ে বিকেল ৫ টার দিকে সাব্বির বাড়ীর পার্শ্বে নদীতে পড়ে যায় এবং পরবর্তীতে তাকে উদ্ধার করে সুস্থ্য করা হয়। উক্ত ঘটনার জের ধরে রিয়াজুল ও তার পরিবারের সদস্যরা রাত ৮ থেকে ১১ টার মধ্যে যে কোন সময়ে রতœাকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে। এ ঘটনায় পরের দিন ৯ অক্টোবর মেয়ের মা আলেয়া খাতুন বাদী হয়ে পাবনা থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন। যার নং ২২।