সাঁথিয়া (পাবনা)প্রতিনিধিঃ
পাবনার সাঁথিয়া পৌর সভায় ২০১৯-২০ অর্থ বছরে এডিপি’র ৮৩ লক্ষ টাকার ৯টি প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। ১১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্পের কাজ সীমানা জটিলতার জন্য বন্ধ রয়েছে।
জানাযায়, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে সাঁথিয়া পৌরসভায় বার্ষিক উন্নয়ন খাত (এডিপি) ৯৪ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়। এ বরাদ্দ টাকায় পৌরসভা এলাকায় ১০টি প্রকলপ গ্রহণ করা হয়।
প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে পৌরসভার বোয়ালমারী বাজার জামে মসজিদের ভিত্তিসহ আংশিক নির্মান, পূর্বভবানীপুর বায়তুন্নর জামে মসজিদের ছাদ নির্মান, গোপিনাথপুর কালিমন্দিরের উন্নয়ন কাজ, বোয়ালমারী বাজারের ড্রেন নির্মান, কালাইচারা প্রামারী স্কুল আরসিসি দ্বারা উন্নয়ন কাজ, ছেঁচানিয়া হাইস্কুল মাঠ সম্প্রসারণ ও পার্শ্বের ডোবা ভরাট, কালাইচাড়া সড়ক আরসিসি করা, সাঁথিয়া প্রেসক্লাবের ছাদ ঢালাই, বোয়ালমারী পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের ছাদ নির্মান ও গোপনপুর সড়ক আরসিসি করণ।
সরেজমিন পৌরসভার এডিপি’র ৯টি প্রকল্প পরিদর্শনে গেলে দেখা যায়, পূর্বভবানীপুর বায়তুন্নর জামে মসজিদে গেলে দেখা যায়, মসুল্লিরা যোহরের নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে ঢুকছে। মসজিদের ছাদ নির্মান শেষে চার পাশের দেয়াল বালু সিমেন্ট দিয়ে লেপাও শেষ হয়েছে। মসজিদের মোয়াজেন নজরুল ইসলাম জানান, ছাদের কাজ শেষ হয়ে মসজিদের অন্যসব কাজ রং বাদে শেষ। মসজিদের সভাপতি আজিজুল মাস্টার জানান, পৌর সভার মেয়র মিরাজুল ইসলাম প্রামানিকের দেওয়া এডিপি’র বরাদ্দে মসজিদের ছাদটি নির্মান করা হয়। তিনি মসজিদটির অনুকুলে বরাদ্দ না দিলে ছাদ নির্মান করা আমাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না। বোয়ালমারী বাজারের ড্রেন নির্মান কাজ প্রায় শেষের দিকে দেখা যায়। ড্রেনের উপরের অংশ (কয়েক মিটার ঢাকনা) ছাড়া সব কাজ শেষ হয়েছে। বাজারের দোকানদারা জানান, ড্রেন নির্মানের আগে বাজারে জলাবদ্ধতা থাকত। ড্রেন নির্মান হওয়ায় জলাবদ্ধতা এখন নেই। বোয়ালমারী পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের ছাদ নির্মান কাজ দেখতে পশ্চিমপাড়া গেলে দেখা যায়, মসজিদের ছাদ শেষ হয়ে অন্য কাজ করছে কমিটি। কিছু দিন হলো ছাদের সাটারিং এর কাঠ সরিয়ে ফেলা হয়েছে। গোপিনাথপুর আজাহার আফসার সড়ক হতে কাজিপুর জামে মসজিদ পর্যন্ত সড়ক আরসিসি করণের কাজ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। সড়কে চলাচলকারী ভ্যান চালক ও এলাকাবাসী জানান, এ সড়কটি আগে চলাচলের অযোগ্য ছিল। সড়কটি আরসিসি করণে যানবাহনসহ মানুষের চলাচলে অনেক সুবিধা হয়েছে।
সাঁথিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক জয়নুল আবেদীন রানা, জানান, প্রেসক্লাবটি ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত হবার পর দীর্ঘ সময় চার চালা টিনের ঘর ছিল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর স্থানীয় এমপি আলহাজ্ব এ্যাডঃ শামসুল হক টুকুর প্রচেষ্টায় আজ নতুন রুপে সেজেছে। প্রেসক্লাবের ছাদ নির্মানে অর্থের সমস্যা দেখা দিলে এমপি’র নির্দেশে পৌর মেয়র মিরাজুল ইসলাম এডিপি’র প্রকল্প থেকে তা নির্মান করে দেন।
প্রেসক্লাবের সম্পাদক আবুল কাশেম জানান, নির্মান কাজ শেষ হওয়ায় আজ আমরা ছাদের নিচে বসার সুযোগ পেয়েছি।
সাঁথিয়া পৌরসভার মেয়র মিরাজুল ইসলাম প্রামানিক জানান, দরপত্র বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৯টি প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে কাজ বুঝে নেবার জন্য পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা সর্বদা তদারকী করেছে। সীমানা জটিলতার জন্য একটি প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে।