এনামুল হক টগর
এই গভীর রাতের জীবন চৈতন্য ব্যথায়,
নগরের স্টেশনে একটি কিশোর বালক দাঁড়িয়ে আছে বিস্ময়,
ভীষণ গরীব সে সারাদিন অনাহারে কাটে ক্লান্ত দেহ তাঁর চেতনা অপরাজয়।
ক্ষুদ্র জ্ঞানের জগতে সবাই হেঁটে যায় দূর দূরান্তে কতো সংগ্ৰামী জীবন যৌবন,
দিন শেষে আঁধার রাত নেমে আসে ব্যথা ভরা সময়ের বিরহ নির্জন।
পাশের জঙ্গলে শিয়াল ও হিংস্র পশুগুলো ডাকে ক্ষুধার্ত জীবন নির্বাক!
খাদ্যের আহরণে তারা চিৎকার করে আওয়াজ তোলে কঠিন ভয়ানক!
বিস্ময়কর রাতের আঁধারে ওই দূর গ্ৰামে বিপন্ন গরীবরা জেগে আছে কঠিন ক্ষুধায়।
কিশোর বালক বুঝে নেয় জীবন ও সময় খুবই ক্ষুধাতুর বিষে জর্জর অসহায়।
ঘাতকরা বেদনার খাঁচায় বন্দি করে রাখে মানবতার বিবেক ও বোধশক্তি।
দুঃখের নদীতে জ্যোৎস্না প্লাবিত হয় বিপ্লব মুক্তির ঢেউ তোলে আসন্ন সত্য দর্শন যুক্তি।
কিশোর স্থির দৃষ্টি মেলে নিজের প্রতিবিম্ব দেখে নিজেই
যার গভীরে ক্ষুব্ধ ও নির্মম ঘাতক শিকারী দাঁড়িয়ে আছে খুব কাছাকাছি সহজেই।
অসভ্যতার এক শক্ত ও কঠিন প্রাচীরের আঁধার থেকে,
তারা ছুটে আসে ভয়ানক আত্যাচারী অসুরা এক দানব অবাক।
স্টেশনে কিশোর বালক নিরুপায় তবুও দাঁড়িয়ে থাকে সাহসী বীর একা।
কিভাবে প্রতিবাদ প্রতিরোধ ও যুদ্ধ করে বাঁচাবে এই দেশ সমাজ ও পৃথিবীর বিবেক।
সামনে রঙিন জলসাঘর নর্তকীর বিস্ময় নোংরা হাসি!
পেছনে ঈশ্বর নিরব নিশ্চুপ শুধুই আইনের বিধি বিশ্বাস,
তবু স্টেশনে কিশোর বালক একাই সাম্য চেতনায় দাঁড়িয়ে থাকে বাঁচার অধিকার আশ্বাস।
২৩/০৮/২০২০