নাটোর প্রতিনিধি- নাটোরের লালপুর উপজেলার বালিতিতা ইসলামপুর গ্রামে কোনো ধরনের রস ছাড়াই বানানো হচ্ছিল খেজুরের গুড়। এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মোস্তাক বিশ্বাস (৩৩) নামের এক গুড় ব্যবসায়ীকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১৫ হাজার কেজি ভেজাল গুড় জব্দ করা হয়। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত এ আদেশ দেন।
র্যাব-৫-এর নাটোর ক্যাম্প সূত্রে জানা যায়, ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) রাজিবুল আহসানের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল লালপুরের বালিতিতা ইসলামপুর গ্রামে মোস্তাক বিশ্বাসের বাড়িতে অভিযান চালায়। অভিযানে তাঁর গুড়ের কারখানা থেকে ১৫ হাজার কেজি ভেজাল গুড়, পাঁচ কেজি ফিটকিরি, ২০ কেজি ভেজাল ময়দা, ৩১৬টি গুড় রাখার টিন, ৩ লিটার রং ও ২০০ কেজি চিনি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা গুড় খেজুরের রস ছাড়াই চিনি, ময়দা ও রাসায়নিক মিশিয়ে তৈরি করা হয়েছে বলে ওই ব্যবসায়ী স্বীকার করেন। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও লালপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাম্মী আক্তার সেখানে হাজির হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত ভেজাল গুড় তৈরি ও সংরক্ষণের দায়ে মোস্তাক বিশ্বাসকে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেন। টাকা পরিশোধ করে ওই ব্যবসায়ী ছাড়া পান। জব্দ করা মালামাল ধ্বংস করার নির্দেশ দেন তিনি।
নাটোর র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার এএসপি রাজিবুল আহসান বলেন, উদ্ধার করা মালামাল জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। খেজুরের বা আখের রস ছাড়াই তাঁরা ভেজাল গুড় বানাচ্ছিলেন। চিনি ছাড়া উদ্ধার করা অন্যান্য মালামাল ধ্বংস করা হয়েছে। চিনি নিলামে বিক্রি করা হয়।