সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ভূমিহীন মুক্তিযোদ্ধাদের সরকার প্রদত্ব ভূমি বেদখল দিয়েছে বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, বারুহাস গ্রামের ভূমিহীন মুক্তিযোদ্ধা মরহুম গাজী আলী আশরাফ খানের স্ত্রী আলতাফুননেছা ও দিঘরীয়া গ্রামের গাজী সিদ্দিকুর রহমান ২১-৪-২০১৪ তারিখে ১৩৯৬ এবং ১৩৯৭ নং দলিল মুলে সরকার কর্তৃক প্রাপ্ত হয়ে ১৬-০৭-২০১৪ তারিখে খারিজ করে হালনাগাদ সরকারের রাজস্ব প্রদান করে। কিন্তু সরকারী বরাদ্দ অমান্য করে সড়াবাড়ী গ্রামের মৃত খন্দকার আবু বক্কারের ছেলে আরিফুল ইসলাম ও তার দুই ভাই খন্দকার আলাল উদ্দিন ও খন্দকার দুলাল উদ্দিন জোড় করে বেদখল দিয়েছে। সরকারের বরাদ্দকৃত জমি হালনাগাদ কাগজপত্র থাকা সত্বেও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার জমি ভোগ করতে পারছেন না। এই বিষয়ে সহকারী কমিশনার ভূমি বরাবর অভিযোগ দিয়ে কোন প্রতিকার না পেয়ে হতাশায় ভুগছেন মুক্তিযোদ্ধা পরিবার স্বজনরাা। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আবেদন করলে তিনি সহকারী কমিশনার ভূমিকে বিষয়টি দেখার জন্য আদেশ দেন। মুক্তিযোদ্ধার স্বজনরা তদন্তের জন্য বার বার সহকারী কমিশনার ভূমি কার্যালয়ে ধরণা ধরে অনেক কাকুতি মিনতি করার পর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের অনুরোধে তিনি তদন্ত না করে কানুনগো ও বস্তুল তহশিল দ্বারকে তদন্তে পাঠান। তদন্ত কালে কানুনগো ও তহশীলদ্বার উভয় পক্ষকে কাগজ পত্র দৃষ্টে বিবাদীকে নালিশী ভূমিতে চাষাবাদ করতে নিষেধ করেন। কে শোনে কার নিষেধ। সরকারী নিষেধ অমান্য করে আরিফুল ইসলাম ও তার দুই ভাই খন্দকার আলাল উদ্দিন ও খন্দকার দুলাল উদ্দিন জোড় করে জমিতে ধানের চারা রোপন করছেন। আমরা এই জমি দেখতে গলে তারাই আবার থানাতে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। জমি না পাওয়ার ক্ষোভে ও হয়রানী থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের সহযোগীতা কামনা করছেন ভূমিহীন মুক্তিযোদ্ধার পরিজন বর্গ।
বর্তমানে সরকারের বরাদ্দকৃত জমি দলিল মুলে ও সরকারী রাজস্ব দিয়েও ভোগ করতে না পারায় মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিকুর রহমান ক্ষোভ করে বলেন, ৯ মাস যুদ্ধ করে ৩০ লক্ষ শহীদদের রক্তের বিনিময়ে এই দেশ স্বাধীন করে যদি মুক্তিযোদ্ধার এই দশা হয় তাহলে এই দেশের মানুষ দাঁড়াবে কোথায়। আমরা জীবনের মায়া ত্যাগ করে এই দেশ স্বাধীন করেছি কিন্তু এখনও দেশ স্বাধীন হয় নাই। তিনি বলেন প্রয়োজনে আমরা মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে যেতেও প্রস্তুত আছি। তাড়াশ থানা অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুল আলম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তবে এ বিষয়টি সহকারী কামশনার ভূমি দেখবেন। আইন শৃংখলার যেন অবনতি না হয় সে জন্য পুলিশ পাঠিয়ে উভয় পক্ষকে জমিতে না যাওয়ার জন্য নিষেধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ওবায়দুল্লাহ বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।