কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জ জেলা সদর পুলিশ লাইন্স মুকসেদপুর এলাকা নতুন পল্লীতে তিতাস গ্যাসের ১৫০০ ফিট অবৈধ সংযোগের মূল হোতা কে? তা চিহ্নিত করতে পারেনি তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ । যার ফলে ধরা ছোয়ার বাহিরে মূল হোতারা । এ নিয়ে এলাকায় চলছে নানান গুঞ্জন ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ২নং লতিবাবাদ ইউনিয়নে ৪নং ওয়ার্ডের মুকসেদপুর নতুন পল্লী এলাকায় সরকারী সড়ক খেটে তিতাস গ্যাসের মূল লাইন নেওয়ার জন্য ১৫০০ ফিট পাইপ বসানো হয় । খবর পেয়ে কিশোরগঞ্জ তিতাস গ্যাসের সহকারী প্রকৌশলী শান্তনূ রায় ও ময়মনসিংহ বিভাগের ডিজিএম ইঞ্জিনিয়ার নজরুল ইসলাম তাদের লোকজন নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় গতকাল বুধবার বিকালে অবৈধ সংযোগের মালামাল জব্দ করে নিয়ে যায় । আজ বৃহস্পতিবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কারো বিরোদ্ধে কোন মামলা দায়ের করা হয়নি। যাহা আরেক নতুন রহস্যের সূচনা করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী । অন্য দিকে সরজমিনে এলাকা ঘুরে জানা যায় , নতুন পল্লী এলাকায় নতুন বাসা বাড়ি গড়ে উঠা মালিকদের ভিতরে কয়েকজন মিলে প্রতি বাসা থেকে ৩৫ হাজার টাকা উত্তোলন করে এই অবৈধ সংযোগের নীল নকসা তৈরী করে। তাদের ভিতরে অন্যতম নেতা
মুহা. আব্দুল গাফ্ফার ও জাহাঙ্গীর সহ সাবেক সেনা সদস্যের নাম সিন্ডিকেটে অন্যতম । এ ঘটনায় ২নং লতিবাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নাম উল্লেখ করেন অনেকেই ।এ নিয়ে চেয়ারম্যান শহিদ মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি বলেন নান্দাইল এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র আব্দুল গাফ্ফার ও এই এলাকায় বসবাসকারী ঢাকায় কর্মরত জাহাঙ্গীর গংয়েরা নাভানা কম্পানীর সাথে চুক্তিপত্র করে লিকুইট ব্যবহার করার জন্য এ পাইপ বসানো হয়েছে বলে জানান। তবে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের দাবি লিকুইট ব্যবহার করলে টারমিনাল তৈরী করতে হবে আগে , টারমিনাল ছাড়া লিকুইট ব্যবহার করা সম্ভব নয় এ লাইন অবৈধ গ্যাসের জন্যই তৈরী করা হয়েছে। তবে গ্যাস অফিসের কেউ এ ঘটনার সাথে জড়িত নয় বলে দাবি তাদের। অন্য দিকে কিশোরগঞ্জ সচেতন মহলের দাবি এখন পর্যন্ত কারো বিরোদ্ধে কোন ধরনের মামলা মোকদ্দমা না করায় ও উক্ত মাল জব্দ তালিকা থানায় না দেওয়ায় রহস্যের কারনে অফিসের লোকজনের জড়িত থাকার বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। উক্ত ঘটনায় কিশোরগঞ্জ দ্বিতীয় নারায়নগঞ্জের মসজিদ ট্রাজিডিতে পরিণত করার পরিকল্পনাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।