চলতি মৌসুমে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় দীর্ঘ মেয়াদী বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমান দাড়িয়েছে ২০ কোটি, ৭২ লাখ, ৬৮ হাজার ৯৫০ টাকা। উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় জরিপ করে বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরুপন করেছে। তবে তিস্তা নদী বেষ্টিত তারপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, কঞ্চিবাড়ি, শান্তিরাম, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বেশি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ১৫ কিলোমিটার পাকা, ৫৫ কিলোমিটার কাঁচা, ৭০ কিলোমিটার চলাচলের রাস্তাঘাট ও ১৮টি কালভাট, সেতু এবং ব্রিজ বিনষ্ট হয়েছে। এছাড়া ৪৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১১টি মাধ্যমিক স্তরের স্কুল ও মাদরাসা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কৃষিক্ষেত্রে বীজতলা, তোষাপাট, উঠতি ফসলসহ আবাদি জমি, তারতরকারি ক্ষেত বিনষ্ট হয়েছে। অপরদিকে বন্যায় এবং নদী ভাঙনে হাজার ঘরবাড়ি, গৃহপালিত পশুপাখি, বনজ সম্পদ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সবমিলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে প্রায় ২১ কোটি টাকার সম্পদ। হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি জানান, বন্যায় তার ইউনিয়নের চরাঞ্চলের সকল রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। চরবাসির চলাচলের রাস্তাঘাট সমুহ বন্যায় ছিন্ন বিছিন্ন হয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, চিকিৎসা কেন্দ্র, ঘরবাড়ি, মৎম্য খামার, বীজতলা, তরিতরকারির ক্ষেত, গৃহপালিত পশুপাখি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সৈয়দ রেজা-ই মাহমুদ জানান, বন্যার পানি দীর্ঘদিন জেমে থাকার কারণে অনেক ফসলের ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা নিবার্হী অফিসার কাজী লুতফুল হাসান জানান, সকল সরকারি দপ্তর বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরুপন করে তা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।