নারায়ণগঞ্জের মসজিদে বিস্ফোরণে আহতদের আরো দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে মৃতের সংখ্যা দাড়ালো মোট ২০ জন। এদের মধ্যে এক শিশুও এবং ইমাম রয়েছে। বিষ্ফোরণে দগ্ধ ১৭ জনের অবস্থাও সংকটাপন্ন। তারা শেখ হাসিনা বার্ন ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের প্রত্যেকের শরীরে ৩০-৯০ শতাংশ পর্যন্ত পুড়ে গেছে।
মৃতরা হলেন- রাসেল (৩৪), রিফাত (১৮), মোস্তফা কামাল (৩৪), জুবায়ের (১৮), সাব্বির (২১), কুদ্দুস ব্যাপারী (৭২), হুমায়ুন কবির (৭০), ইব্রাহিম (৪৩), মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন (৪৮), জুনায়েদ (১৭), জামাল (৪০), জুয়েল (৭), জয়নাল আবেদিন (৪০) ও মাইনুদ্দিন (১২)। নিহত ১৭ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১২ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে রাতে ইমামসহ আরো কয়েকজন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থশংকর পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, শুক্রবার ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা বাইতুস সালাম জামে মসজিদে এশার নামাজ শেষে মোনাজাত চলাকালেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে একাধিক এসির। মুহূর্তেই মসজিদের ভেতরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময়ে মসজিদে থাকা মুসল্লীদের গায়ে আগুনের ফুলকি গিয়ে পড়লে একে একে দগ্ধ হতে থাকে মুসল্লীরা। মসজিদের ভেতর থেকে আসতে থাকে মুসল্লীদের আত্মচিৎকার।
পরে আশেপাশের লোকজন গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। তাদের অনেকের শরীরের কাপড় ছিল না। আগুনে পুড়ে যায় শরীরের কাপড়গুলো। আহতদের প্রথমে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে আনার পর তাদেরকে চিকিৎসার জন্য ঢাকার বার্ণ ইউনিটে পাঠানো হয়।