নাসিম উদ্দীন নাসিম- নাটোররে লালপুর উপজলোয় পদ্মা নদীর র্দুগম চর জাজরিা ও দয়িারশংকরপুর নেতাদের ভোট নেয়ার জন্যি কতি হয়,তাই কয় । এ জীবনে মনে হয় দ্যাখি যাতি পারবো না চর জাজিরার কারেন্টের বাতির আলো আইসে । বকুল এমপির আগেও অনেক মন্ত্রী এমপি বলছে কাজ হয়নি । এসব সব কথার কথা । এ কথাটা সব সময় নানীপুতিদের বলতেন ,শামসু মাঝি (৬৮) । এক সময় পদ্মা নদীর বুকে উত্তাল ঢেউয়ের সাথে গাজী গাজী বলে বৈঠা চালানো বৃদ্ধ মাঝি স্বপ্নেই ভাবেনি জীবদ্দশায় পদ্মানদীর পানি পেরিয়ে দূর্গমচরে আলো আসবে । বিদ্যুৎ এর আলোয় আলোকিত চর দেখে নাতিপুতিরা শামসু মিয়ার সাথে মশকরা করছিল ।
নাটোরের লালপুর উপজেলায় পদ্মা নদীর দুর্গম চর জাজিরা ও দিয়ারশংকরপুর বিদ্যুৎ–সুবিধার আওতায় এসেছে। নদীর মধ্য দিয়ে খুঁটি পুঁতে লালপুর বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র থেকে শনিবার সেখানে ৩৫৪টি পরিবারকে বিদ্যুৎ–সংযোগ দেওয়া হয়।নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধুর শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ সেবা
কর্মসূচির অংশ হিসেবে পদ্মার চরের দুর্গম এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। পৌনে ২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ১১ কিলোমিটার সরবরাহ লাইন তৈরি করা হয়।শনিবার দুপুরে নাটোর-১ আসনের সাংসদ শহিদুল ইসলাম নৌকায় নদী পার হয়ে চরে বিদ্যুৎ সরবরাহের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২–এর পরিচালনা বোর্ডের সভাপতি ওয়াশছেক আলী। অনুষ্ঠানে পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ড নাটোরের নির্বাহী প্রকৌশলী সাব্বিউল ফেরদৌস, নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২–এর মহাব্যবস্থাপক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আবদুর রশিদ, ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।সাংসদ শহিদুল ইসলাম বলেন, চারদিকে পানি। মাঝে চর জাজিরা ও দিয়ারশংকরপুর গ্রাম। এখানে বিদ্যুৎ আসতে পারে, তা এত দিন কেউ ভাবতে পারেনি। শোকের মাসে এখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে সরকার এলাকাবাসীকে বিশেষ সুবিধা দিল। বিদ্যুৎ পেয়ে চরের মানুষ খুশি হয়েছেন।