ঐ যে মহাশূন্য আর ঐ যে মহা-সমগ্রের দিকে তাকাও,
তাদের কাছে ধ্বংস আর মৃত্যুর গভীরে জীবনের রহস্য শুধাও,
আরো শুধাও জীবন ও মৃত্যুর নব নব জাগরণ পুণজাগরণ ও পুণচেতনার ধ্বনি চিরন্তন।
জীবন যখন পৃথিবী থেকে মহাবিশ্বের দিকে তাকায় এক দিগন্ত,
তখন তাঁর নিশিদিনের মধ্য কে বসে আছে অনাদি অনন্ত!
শুধু শূন্য আর শূন্য কখনো বৈচিত্রময় আবার কখনো বৈচিত্রহীন সুশান্ত!
আবার জীবন যখন অন্ধকারের দিকে তাকায় তখন শুধুই অশান্ত!
এ-যেন মহাত্মার গভীরে বিস্ময় আলোর ঐশ্বরিক আঁধার ও জ্যোতির্ময় প্রকাশ!
নতুন সূর্য দিনকে যেভাবে সোনালী আলো দিয়ে বিজ্ঞ করে তোলে অশেষ।
আবার অনাগত আঁধারের গুণাগুণে চাঁদ তারকা ধুমকেতু আর গ্রহগুলো,
রংয়ের খেলায় সময়কে চঞ্চল করে তোলে মিট-মিট আলো।
তাঁরা ঐশী তপস্যায় আলোকিত করে তোলে জগতময় আবার অন্ধকারকে মগ্ন করে তোলে বিভোর চেতনাময়!
রহস্য যেন তৃতীয় নয়নের গভীরেই আত্মজগতের গুপ্তজ্ঞানে দৌলত ভাণ্ডার!
দেহের গোপন উদ্যানে জ্বলে ফাগুন ও চৈত্রের বসন্ত আবার।
প্রেমের সমুদ্র ও নদীতে ভাসে উদাস মাঝির সুর বৈচিত্র
বহুদূর সরোবর অজানা ঠিকানার পথে পথে হয়তো দেখা হবে নব নব চিত্ত!
সমুদ্র নদীর ভয়ংকর গর্জন আর তুফান ঝড়ের ভবে।
ফণী হারিকেন টাইফোন ও সাইক্লোনের ঘূর্ণঝড় তাণ্ডবে
জলোশ্বাসে লণ্ড ভণ্ড ধ্বংস আর মৃত্যুর রং আজবে!
মৃত্তিকা অরণ্য ও প্রকৃতির আইন বিধানে নিত্য চলমান সজিব।
শুধু ধূঁ-ধূঁ আর খাঁ-খাঁ শূন্য মাঠ ও প্রকৃতির নীড়ে অরণ্য মৃত্তিকা বেলাভূমি,
তাঁর বুকে অবাক ও বিস্ময় আধুনিক সময়ের বর্ষণে নতুন ফসল ফলায় আগামী।
আবার দেখি প্রাণের নব নব জাগরণে সজিব শস্য দানা বাঁধে অন্তযামী!
চারাগাছগুলো বেড়ে ওঠে বৃক্ষে রূপান্তর হয় লাল নীল, আর সবুজ হলুদ সাদা ও কালো রংয়ের বিচিত্র ফুল!
এক সময় ফল ধরে শাখা ও প্রশাখায় প্রাণ আর যৌবনের রসদ আকুল!
আধুনিক আলো আর মহা-রংয়ের উৎসবে যেন ভরপুর
হয়ে ওঠে প্রকৃতি বনানী ও অরণ্যের দীর্ঘ মাঠ প্রান্তর।
কখনো তোমার ঐশ্বরিক বার্তা মহৎ নারী ও পুরুষের রূপ করে ধারণ।
যেন তোমারই সৃষ্টির গুণাগুণে মিশে আছে বিদগ্ধ প্রেমে স্বজন।
তাইতো বলি ও দেখি এই বৈচিত্র্যময় রং আর রকমারী
কোথা থেকে আসে আর কোথা যায় চলে বৈচিত্র্যের প্রকার!
এই-কি তবে মহাত্মার মহাচেতনা ও মহাচৈতন্যের প্রেমময় আলো?
তোমার ভেতরেই কি মহাচৈতন্যের সুশান্ত ও সরোবর রং জ্বালো?
তুমিই কি মহা-শিশুর মতো মহারহস্যময় সহজ ও সরল মহজ্ঞানী আর মহা-গুণি?
মহাজ্ঞানের অবয়ব সুরত ও লুকানো তত্ত্বের মারফত পরিচয় ধ্বণি?
যার গভীরে সবরকারীর চেতনা জাগে কল্যাণ ও সেবায় সতত।
কিন্তু দেহের গভীরে তুমি যে গোপন রং ছড়াও ঐশ্বরিক নব নব যত!
ফুলের গভীরেও তুমি রং ছড়াও প্রকৃতির কতো যৌবন বৈচিত্র্য!
এ যেন অনন্ত ও অনাদি চির-মহাবসন্তকালের রং চিত্র।
আমরা ফিরে যেতে চাই আর মিশে যেতে চাই নিত্য
তোমার প্রেম ও ভালোবাসার চিরন্তন রংয়ে মিশে জীবন যৌবন অক্ষয়!
এক ঐশ্বরিক জ্যোতির্ময় প্রেমের স্বচ্ছ আলোয় বিলিন হয়ে নতুন নতুন আলোয়।