সংখ্যা হিসাবে ৯৬।যার মধ্যে ঝড়ে গেল একটি।এই একটি সংখ্যা রেখে গেল অনেক কিছু:একটি এতিম শিশু।যে আর কখনো পাবেনা বাবার আদর-আরো অনেক কিছু।নিঃশ্ব হলো এক নারী।যার দু’চোখে ছিল অপার স্বপ্ন।
নাটোর জেলা পুলিশের করোনা আক্রান্ত ৯৬ সদস্যের একজন ছিলেন ইন্সপেক্টর সুমন আলী।আক্রান্ত ৩ ইন্সপেক্টরের একজন ছিলেন তিনি।সহকর্মি হারানোর বেদনায় অশ্র“শিক্ত অপর ২ ইন্সপেক্টর।পুলিশ ইন্সপেক্টর সুমন আলীর দাফন হয়েছে চাপাই নবাবগঞ্জে।করোনা সংক্রমন শুরুর পর থেকেই জনগণকে সচেতন করতে মাঠে ছিলেন এ যোদ্ধা।লড়াই করে শহীদ হয়েছেন করোনার হাতে।
তার মত এখনো লড়ে চলেছেন জেলা গোয়েন্দা শাখার ইন্সপেক্টর মোহম্মদ ইব্রাহীম,বাগাতিপাড়া থানার ওসি নাজমুল হক।
আক্রান্ত অবস্থায় এখনো লড়ে যাচ্ছেন ৪৫ পুলিশ সদস্য।যারা রয়েছেন আইসোলেশনে।এর আগে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত আক্রান্ত হয়েছিলেন করোনায়।তবে তিনি এখন মুক্ত।
মোট আক্রান্ত ৯৬ পুলিশ সদস্যের মধ্যে এসআই পদ মর্যাদার ১২ জন,এএসআই পদ মর্যাদার ১২।আর ৩ নারী কনস্টেবল সহ ৬৫ পুলিশ সদস্য আছেন আক্রান্তের তালিকায়।করোনা সংক্রমন শুরুর সাথে সাথে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহার নেতৃত্বে মাঠে নেমেছিল জেলা পুলিশের সকল পর্যায়ের সদস্যরা।
নিজেদের সীমিত প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নিয়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার রাষ্ট্রীয় দায়িত্বের পাশাপাশি করোনা নিরাপত্তায় সক্রিয় ভাবে মাঠে কাজ করেছে নাটোর জেলা পুলিশ।এ কারনে যে কোন বিভাগের তুলনায় পুলিশ সদস্যরা আক্রান্ত হয়েছেন বেশি।পরিবারের শংকা তুচ্ছ করে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব ও জনসেবাকে প্রাধান্য দিয়ে লড়াই করেছেন সমান তালে।
মূল্যও দিতে হয়েছে।বৃহ¯পতিবার রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়ে দায়িত্ব কর্তব্যে স্বাধীনতা পদক পাওয়া বাহিনীর সুনাম উর্ধ তুলে ধরে বিদায় নিয়েছেন একজন পুলিশ সুমন আলী।