নাটোরের গুরুদাসপুরে এক বছরেও সংস্কার হয়নি এক কিলোমিটার সড়ক। উপজেলার কাছিকাটা-ছাইকোলা এক কিলোমিটার সড়কসহ নাড়িবাড়ি মোড় থেকে নাজিরপুর ব্রীজঘাট পর্যন্ত সাড়ে ৯ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারে ব্যয় বরাদ্দ হয়েছিল ৩৬ কোটি টাকা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সরকার কনস্ট্রাকশনের অনিয়ম অবহেলায় সড়কটি সংস্কার হচ্ছেনা। যান চলাচলে বিঘœসহ নানারকম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে মানুষ।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) বিভাগ নাটোরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. ইউনুস আলী বলেন, গত বছরের মে মাসে ওই সড়ক সংস্কার কাজ শুরু হয়। গত জুন মাসের মধ্যে সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সিডিউল বহির্ভূত নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগে সড়কের কাজ সাময়িক বন্ধ রাখা হয়।
এদিকে সংস্কার করা না হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ গুরুদাসপুর-নাজিরপুর সড়কটির বিভিন্ন স্থানে গর্ত হয়েছে এবং ভেঙ্গে দেবে গেছে। সৃষ্টি হওয়া গর্তগুলোতে বৃষ্টির পানি জমে পরিণত হয়েছে মরনফাঁদে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ায় জনদুর্ভোগ আরো বেড়ে গেছে। কালভার্টের ইটপাথর ও মাটি ধসে যাওয়ায় ট্রাক, মাইকো, টেম্পু, ট্রলি, মোটরসাইকেল, অটো ভ্যান-রিক্সাযোগে চলাচলের সময় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। সড়কটি সংস্কারের অভাবে এলাকাবাসীর দুঃখ দুর্দশা লাঘব হচ্ছেনা।
স্থানীয়রা জানায়, বিকল্প সড়ক না থাকায় দুর্ঘটনার ভয় থাকা সত্ত্বেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই সড়কে বাধ্য হয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, জনপ্রতিনিধিরা এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেনা। কর্তৃপক্ষও খোঁজখবর রাখেনা। সড়কটির নিরব কান্না যেন কারো কানে যায়না। ভাঙা রাস্তায় গাড়ি চলাচলে ধীরগতির কারণে সময়মত কর্মস্থলে যাওয়া যায়না। তাছাড়া গাড়ির ঝাঁকুনিতে অনেকেই শরিরীকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
ঠিকাদারের সহকারি অজিত কুমার ও সুবাশ কুমার জানান, দ্রুত গতিতে সংস্কার কাজ চলছে। সওজ কর্তৃপক্ষ বলেছে সিডিউল মোতাবেক কাজ না হলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কানাকড়িও দেওয়া হবেনা।