যখন প্রগাঢ় হতাশা ভিড় করে চেতনায়, তখন তোমার ছবির সামনে দাঁড়ালেই মনে হয়, এইতো জেগে উঠেছে অমিত বিক্রম মানুষ -এই তো মহান স্রষ্টা মানুষ তার পেশল বাহুতে বীজ বুনেছে, চারা রোপণ করেছে, মানুষ এগিয়ে চলেছে তার সমূহ অবিনশ্বরতা নিয়ে। তোমার ছবি হতাশার বদলে জাগায় প্রত্যয় যুথবদ্ধ মানুষের এগিয়ে চলা। জাত ভবঘুরে লাল মিয়া তুমি ঘুরেছো ভুবনময়- মাটির কাছাকাছি থেকে নিজের শেকড়কে স্বদেশের মাটিতে প্রোথিত রেখে করেছো যে বিশ্ব জয়। প্রকৃতির শোভা, মানুষের কলরব মূর্ত হয়েছে তোমার তুলির টানে- মনো চোখের পুরু আতস কাঁচ দিয়ে অতিরঞ্জিত করেছো তুমি মনে ধরা বিষয় গুলোকে। তুমি যে চিত্রাতীরের চিত্রপটুয়া লালমিয়া সুলতান। চার দেওয়ালের রীতিনীতির অনুশাসনে তোমাকে বাঁধতে পারিনি অবাধ স্বাধীনতায় বিশ্বাসী, গভীরতর অন্বেষণে প্রকৃতির সন্তান, ফিরে গেলে প্রকৃতির কোলে। তোমার শিশু স্বর্গের ফুল ফল শোকে ম্লান, তোমার অভয়াশ্রমের পশুপাখি, সাপ এতিম ওদের বোবা চোখে ঝরে অশ্রুধারা। শিল্পীর মৃত্যু নেই, মৃত্যু পারেনি কাড়তে মহা শিল্পীর প্রাণ। সময়ের কালো পর্দার আড়ালে ভেদ করে- তোমার কর্মকীর্তি উজ্জ্বল হয়ে রইবে, অনাগত – ভবিষ্যতে
ছবি লেখিকার ফেসবুক থেকে সংগৃহীত