নাটোরের গুরিদাসপুরে প্যানেল চেয়ারম্যান এম এ মুনসুর রহমান মিন্টু ওপর সন্ত্রাসী হামলা মারপিট ও দোকান ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে গুরুদাসপুর রোজী মোজাম্মেল মহিলা কলেজের সামনে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ওই হামলা চালানো হয়।এঘটনায় প্যানেল চেয়ারম্যান মিন্টু বাদি হয়ে ছয়জনকে অভিযুক্ত করে গুরুদাসপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। মিন্টু উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়ন পরিষদের চার নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। এঘটনায় আহত মিন্টু গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।পুলিশ ও অভিযোগ সূত্র জানাগেছে, বেশ কিছুদিন ধরে এলাকার চিহিৃত মাদক সেবী সাহাদত হোসেন ও তার সহযোগিরা প্যানেল চেয়ারম্যান মিন্টুর কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। গুরুদাসপুর পৌর সদরের রোজী মোজাম্মেল মহিলা কলেজের সামনে ওই প্যানেল চেয়ারম্যানের ষ্টুডিও রয়েছে। শনিবার বেলা ১২টার দিকে পৌর সদরের খামারনাচকৈড় মহল্লার সুমন শাহাদৎ হোসেন (২৮), বিপ্লব হোসেন (২৫), ইব্রাহিম শেখ (২৪), রোজ হোসেন (২২) ও মারুফ হোসেন (২১) মাদক সেবনের জন্য চাঁদা নিতে স্টুডিওতে আসেন। কিন্তু প্যানেল চেয়ারম্যান মিন্টু চাঁদা দেননি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মাদকসেবীরা প্যানেল চেয়ারম্যানকে এলোপাথারিভাবে পিটিয়ে জখম করেন। এসময় স্টুডিও কম্পিউটার ও অন্যান্য আসবাব ভাংচুর করা হয়।প্যানেল চেয়ারম্যান এম এ মুনসুর বলেন, তারা এলাকার চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী। প্রায়ই তারা এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘটান। তাদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। মাদক সেবনের জন্য প্রায়ই স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা নেন। তারা চাঁদা না পেয়ে অতর্কিতভাবে তার ওপর হামলা চালান। এতে তিনি শারিরিকভাবে লাঞ্চিত হয়েছেন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেরও ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানে রাখা ব্যবসার টাকা ছিনতাই করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোজাহারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ভুক্তভোগী প্যানেল চেয়ারম্যান থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা চলছে।ধারবারিষা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মতিন সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মাদক সেবনের জন্য চাঁদা না দেওয়ায় তার পরিষদের সদস্যকে মারপিট করা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে পরিষদের পক্ষ থেকে কর্মসূচি ঘোষনা করা হবে