সৌদি আরবের সাথে দিনাজপুরে আগাম ঈদুল আযহা’র নামাজ অনুষ্ঠিত

অন্যান্য বাবের মত সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে এবারও দিনাজপুর সদর উপজেলাসহ ৪টি উপজেলায় আজ শুক্রবার (৩১ জুলাই) ঈদুল আযহা’র নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।

দিনাজপুর শহরের চারুবাবুর মোড়স্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে প্রায় দুইশতাধিক মানুষ ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন। এই নামাজে মহিলা ও শিশুরাও অংশগ্রহণ করেছে। এছাড়া জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার রাবার ড্যাম এলাকায়, কাহারোল উপজেলার জয়নন্দ গ্রামে ও বিরামপুর উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের আয়রা বাজার জামে মসজিদে এবং জোতবানী ইউনিয়নের খয়েরবাড়ি মির্জাপুর জামে মসজিদে কয়েকশ’ মানুষ ঈদুল আযহা’র নামাজ আদায় করেছে বলে জানা গেছে।

আজ সকাল সাড়ে ৭টায় দিনাজপুর শহরের চারুবাবুর মোড়স্থ একটি কমিউনির্টি সেন্টারে ঈদুল আযহা’র নামাজ আদায় করেন শহর ও আশপাশের কয়েকটি এলাকার মানুষ। এই জামায়াতে পুরুষ, মহিলা ও শিশুসহ ১৭০-১৮০ জন মুসল্লিরা অংশগহণ করেন। এই জামায়াতে ইমামতি করেন সদর উপজেলার রানীগঞ্জ গ্রামের মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি ঢাকার বংশালে একটি কওমী মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসের ছাত্র।

এছাড়া জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার সাইতারা ইউনিয়নের রাবার ড্যাম, ফতেহজংপুর গ্রামে, কাহারোল উপজেলার জয়নন্দ গ্রামে, বিরামপুর উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের আয়রা বাজার জামে মসজিদে এবং জোতবানী ইউনিয়নের খয়েরবাড়ি মির্জাপুর জামে মসজিদে প্রায় ২০/২২টি গ্রামের তিন শতাধিক মানুষ ঈদুল আযহা’র নামাজ আদায় করেছেন বলে জানা গেছে।

দিনাজপুর শহরের চারুবাবুর মোড়স্থ একটি কমিউনির্টি সেন্টারে ঈদুল আযহা’র নামাজ শেষে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে খুৎবায় একই দিনে ঈদ ও কুরবানী করার যৌক্তিকতা তুলে ধরে সবাইকে একই দিনে ঈদ ও কুরবানী করার আহবান জানানো হয়। এ সময় পবিত্র কুরআনের আয়াতের আলোকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবানও জানানো হয়।

কমিউনিটি সেন্টারে ঈদুল আযহা’র নামাজ আদায়কারীদের কয়েকজন জানান, দিনাজপুরে প্রথমে শুধু চিরিরবন্দর উপজেলায় সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করা হতো। কিন্তু বর্তমানে সদর উপজেলাসহ আরো কয়েকটি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে আগাম ঈদের নামাজ আদায় করা হয়। তারা জানান, এবারে চিরিরবন্দর উপজেলার সাইতারা ইউনিয়নের রাবার ড্যাম এলাকায় ও কাহারোল উপজেলার জয়নন্দ গ্রামে আগাম ঈদুল আযহা’র নামাজ আদায় করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, দিনাজপুর জেলায় ২০০৭ সাল থেকে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করে আসছে মুসলমানদের একটি অংশ। প্রথমে মুসল্লিরা সংখ্যায় কম থাকলেও বর্তমানে ২০২০ সালে এসে তা বেড়ে ১৭০-১৮০ জনে পৌঁছেছে।