নাজিম হাসান,রাজশাহী প্রতিনিধি:
গত মার্চ মাস থেকে চলমান করোন পরিস্থিতি জটিল আকার ধারন করায় বাগমারা থানা পুলিশের মাদক বিরোধী স্তিমিত হয়ে পড়ে। আর এই সুযোগে মাদক সেবি ও মাদক ব্যবসায়ীরা হয়ে পড়ে চরম বেপরোয়া। বাড়তে থাকে মাদক দ্রব্যের বিস্তার। সম্প্রতি এ বিষয়ে দৈনিক সানশাইনে একটি প্রতিবেদন ছাপা হওয়ায় টনক নড়ে পুলিশ বিভাগের। পরে নিয়ে জেলা পুলিশের খবরদারীতে নড়েচড়ে বসে বাগমারা থানা পুলিশ। ঈদেরর আগেই পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযানে নেমে পড়ে। বাগমারা থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার সকালে ভবানীগঞ্জ পৌরসভার দানগাছি মহল্লায় এক মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। বাগমারা থানার সেকেন্ড অফিসার(এসআই) মনিরুল ইসলাম এই অভিযানে নেতুত্ব দেন। অভিযান পুলিশ প্রায় হাফ ডজন ইয়াবা ও হেরোইন মামলা সহ দুইটি অপহরন মামলার আসামী আব্দুল হাকিম(৩৮) কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। হাকিম ওই মহল্লার মৃত নজবত মেকারের পুত্র বলে জানা গেছে। এ সময় পুলিশ পুলিশ তার কাছে থেকে ৩ গ্রাম হেরোইন, ২০ পিচ ইয়াবা সহ নগত ৪৮ হাজার ৫শ টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। পুলিশ জানায় হাকিম এর আগে মাদক ও অপহরন মামলায় একাধিক বার হাজতে গিয়েছে। পরে জামিনে বেরিয়ে এসে সে আবারও মাদক ব্যবসা শুরু করে। সে দীর্ঘদিন ধরে তার বাড়ি থেকেই মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে এবং সন্ধ্যার পরে বাড়িতে মাদক সেবনের আড্ডা বসাত। এদিকে একই দিন পুলিশের অপর এক অভিযানে সৈয়দপুর মচমইল এলাকা থেকে ফিরোজ(২৫) নামে এক মাদক সেবিকে এক বোতল ফেনসিডিল সহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে ওই গ্রামের দুলালের পুত্র বলে জানায় পুলিশ । এছাড়া একই দিন উপজেলার সারন্দী গ্রামের কোরবান আলী(৩০) নামে এক মাদকসেবীকে ছয়মাসেরর কারাদ্বন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফ আহম্মেদ। কোরবার আলী ওই গ্রামের সামসুদ্দিনের পুত্র বলে জানা গেছে। থানার সেকেন্ড অফিসার(এসআই) মনিরুল ইসলাম জানান, এখন থেকে আমাদের মাদক বিরোধী অভিযান চলমান থাকবে। মাদকের ব্যাপারে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না এবং কারো কোন তদবিরও আমলে নেওয়া হবে না। বাগমারা থানার ওসি আতাউর রহমান জানান, বাগমারায় মাদক বিরোধী অভিযান আরো তীব্র করা হবে। কোন ছাড় দেওয়া হবে না মাদক সেবী ও ব্যবসায়ীদের।