নাজিম হাসান,রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাগমারায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বিভিন্ন খাল বিলের মুখে বীজ কালভাটের মুখ বন্ধ করায় নামছে না বন্যার পানি। অপরর দিকে গত দুই দিনের টানা বৃষ্টির কারনেই উপজেলার ফকির রানী নদী ও বারানই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি লক্ষ করা গেছে। গত এক সপ্তাহ পূর্বে নওগাঁর মান্দা উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের টেংরা এলাকার বাঁধটি ভেঙ্গে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা ও বাগমারা উপজেলার বিভিণœ এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়। ওই সময় বাগমারা উপজেলার দুই একটি ইউণিয়নের বাড়িঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পানবরজ, ক্ষেতের ধান, পাট, পেঁপে, ভুট্টাক্ষেতসহ বিভিণœ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। পানির তোড়ে সেই সময় উপজেলার দ্বীপপুর ইউনিয়নের জুলাপাড়া নামক স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধটি ভেঙ্গে ওই ইউনিয়নের অর্ধশত বাড়িঘরে পানি ঢোকে পড়ে এবং পুকুরের মাছসহ অন্যান্য ফসলের ক্ষতি সাধন হয়। জুলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধটি ভাঙ্গার কারনে উপজেলার নরদাশ, গোবিন্দপাড়া, সোনাডাঙ্গা, কাচারী কোয়ালীপাড়াসহ কয়েকটি ইউনিয়নের বন্যার পানি কমতে শুরু করে। জুলাপাড়ার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধটি ভেঙ্গে বন্যার পানি কমলেও উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ বিছিন্ন হয় ওই এলাকার জনগন। বাঁধটি ভাঙ্গার পর পরই রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উবর্ধতন কর্মকর্তারা এলাকাটি পরিদর্শন করেন এবং জনগনের চলাচলের ব্যবস্থা করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন । গত কয়েক দিনের প্রবল বর্ষন ও উজান থেকে বয়ে আসা পানির কারনেই বাগমারায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। গতকাল বন্যার পানির প্রবল চাপে ভবানীগঞ্জ পৌরসভার কিছু কিছু জায়গা নতুন নতুন ভাবে প্লাবিত হয়েছে। ভবানীগঞ্জ থেকে গজমতখালীর পাকা রাস্তাটির উপর দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। স্থানীয় লোকজন পানি আটকানোর জন্য আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। খবর পেয়ে ভবানীগঞ্জ পৌরসভার মেয়রসহ সকল কাউন্সিলর বৃন্দরা বন্যার পানি ঠেকানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। উপজেলার ঝিকরা, বড়বিহানালী, কাচারী কোয়ালীপাড়া, সোনাডাঙ্গা, নরদাশ, দ্বীপপুর, গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগন জানান, বন্যার পানি সামান্য কমলেও গত দুই দিনের প্রবল বর্ষনের কারনে পানি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি শুধু বৃদ্ধিই পায়নি। গ্রামে গ্রামে বন্যার পানি ঢোকা শুরু করেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কয়েকটি বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ভেঙ্গে কোন কোন এলাকায় বন্যার পানি কমে ছিল। বর্তমানে পূর্বের এলাকা ছাড়াও নতুন নতুন এলাকা বন্যায় প্লাবিত হওয়া শুরু করেছে। বন্যার পানি বৃদ্ধির কারনে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশক্রমেই বন্যা মোকাবিলার জন্য সরকারী ভাবে সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ রয়েছে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহম্মেদ বলেন, বন্যার পানি কমতে শুরু করেছিল। হঠাৎ দুই দিনের প্রবল বর্ষনের কারনে বন্যার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। জনগনের জানমালসহ সকল বিষয়ের নিরাপত্তার জন্য উপজেলা প্রশাসন, আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্য ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গনসহ জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান