অবিরাম বর্ষন এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে দ্বিতীয় দফার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। কিন্তু নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। টানা অবিরাম বর্ষন এবং উজানের ঢলে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, কঞ্চিবাড়ি, শান্তিরাম, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দ্বিতীয় দফা বন্যা দেখা দেয়। পানি কমতে শুরু করলেও গত রোববার দিবাগত রাত হতে বাড়তে শুরু করেছে। উপজেলার বিভিন্ন চরে বন্যার তেমন কোন অগ্রগতি হয়নি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়সূত্রে জানা গেছে দ্বিতীয় দফা বন্যায় উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন চরের কমপক্ষে ১২ হাজার পরিবারের ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্ধি । শ্রীপুর চরের ফরমান আলী জানান তার ঘরের ভিতরে এখনও পানি রয়েছে। স্ত্রীপুত্র পরিজন নিয়ে কষ্টে দিনাতিপাত করছি । হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি জানান চরাঞ্চলের পরিবারগুলো বিশেষ করে গৃহপালিত পশুপাখি নিয়ে সীমাহীন কষ্টে দিনাতিপাত করছে। উপজেলা নিবার্হী অফিসার কাজী লুতফুল হাসান জানান বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ইতি মধ্যে বানভাসি গৃহপালিত পশুপাখির জন্য খড়ের আটি বিতরণ করা হয়েছে। ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।