আলীকদমে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের সাড়ে ২২ লাখ টাকা নিয়ে ফেরার নৈশ প্রহরী ——ঠুটোজগন্নাথের ভূমিকায় কর্তৃপক্ষ

বান্দরবানের আলীকদমে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক ও একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের অফিস থেকে ২২ লাখ ৪০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়েছে নৈশ প্রহরী উসাই সুই মার্মা। নৈশ প্রহরী উসাই সুই মার্মা (অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ প্রাপ্ত) ও মাঠ সহায়ক সাইদুল হাসান (অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ প্রাপ্ত) ২৬ জুলাই রবিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় আলীকদম সোনালী ব্যাংক হইতে ২২ লক্ষ ৪০হাজার টাকা উত্তোলন করে। টাকা নিয়ে সোনালী ব্যাংক থেকে ফেরার পথে সাইদুল হাসান মাঝ পথে নিজের বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে নেমে যায়। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে উসাই সুই মার্মা সম্পুর্ণ টাকা নিয়ে ফেরার। তবে প্রশ্ন উঠে মাঠ সহায়ক সাইদুল হাসান, হিসাব রক্ষক মোঃ শরিফ কিংবা ব্যাংক সমন্বয়ক ফেরদৌসি আক্তার এই ঘটনার সাথে কতটা জড়িত?
২৪/০৪/২০১৮ খ্রি: তারিখের নিয়োগ পত্র মূলে নৈশ প্রহরী উসাই সুই মার্মা লামার তুলাতলী পাড়া চিংনু মং মার্মার ছেলে। যোগদানের পর থেকে সে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক আলীকদম শাখায় কর্মরত আছে। দায়িত্ব পালনকালে সে বিভিন্ন সময়ে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের টাকা উত্তোলন করে থাকে বলে জানান সোনালী ব্যাংক আলীকদম শাখার ব্যাবস্থাপক মোঃ গিয়াস উদ্দিন।
সোনালী ব্যাংক আলীকদম শাখার তথ্য মতে, ২২ জুলাই পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের আলীকদম উপজেলা সমন্বয়ক ফেরদৌসি আক্তার এর স্বাক্ষরিত চাহিদা পত্র মূলে ২৩ লক্ষ টাকা উত্তোলন করার কথা। কিন্তু ঘটনার দিন সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে ২২ লাখ ৪০ হাজার টাকার একটি চেক নিয়ে ব্যাংকে আসেন পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের শাখার নৈশ প্রহরী উসাই সুই মার্মা ও মাঠ সহায়ক সাইদুল হাসান। চেকের অপর পৃষ্ঠায় পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের উপজেলা সমন্বয়ক ফেরদৌসি আক্তার ‘এই টাকা বাহককে দেওয়া যেতে পারে’ বলে সীল ও স্বাক্ষর দিয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের সমন্বয়ক ফেরদৌসি আক্তার দীর্ঘদিন ধরে নৈশ প্রহরী উসাই সুই মার্মা ও অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ প্রাপ্ত মাঠ সহায়কদের দিয়ে টাকা উত্তোলন এবং ব্যাংকের সকল প্রকার কাজ করিয়ে আসছেন। সকাল সাড়ে ১১ টায় ঘটনা ঘটলেও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে বিকেল ৫টা অবদি কোন প্রকার আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি!
এবিষয়ে জানতে চাইলে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক আলীকদম শাখার সমন্বয়ক ফেরদৌসি আক্তার সাংবাদিকদের প্রশ্ন সরাসরি এড়িয়ে যান। এ সংবাদ লিখা পর্যন্ত কোন প্রকার মামলা কিংবা সাধারণ ডায়েরী দায়ের করা হয়নি বলে জনিয়েছেন আলীকদম থানার অফিসার্স ইনচার্জ কাজী রকিব উদ্দিন।