অর্থ সংকট ও করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে কোরবানি দেয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। তবে ধর্মপ্রাণ ও সামর্থবান মুসল্লি যারা কোরবানি দেয়ার কথা ভাবছেন, সরকারের প্রতি তাদের আহ্বান কোরবানির শেষ পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেবেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে, ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী কোরবানির বিকল্প কিছু নেই বলে মত দিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট আলেম ওলামারা। এছাড়া কোরবানির বিপরীতে অর্থ দানও করা যাবে না বলে মত তাদের।
ইসলাম ধর্মের রীতি মোতাবেক পশু কোরবানি মুসলমানদের জন্য অন্যতম একটি বিধান। যা ইসলামে ওয়াজিব করা হয়ছে সামর্থবানদের উপর। সে অনুযায়ী প্রতিবছরই আরবি ক্যালেন্ডারের জিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখ সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে উদযাপন হচ্ছে ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদ। তবে এবার ভিন্ন প্রেক্ষাপটে হতে যাচ্ছে কোরবানির আনুষ্ঠানিকতা। মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে সংশয় তৈরি হয়েছে এ ধর্মীয় আচার নিয়ে। অর্থ সঙ্কটের বিষয়টি যেমন রয়েছে, তেমনি পশুর হাট থেকে কোরবানির শেষ আনুষ্ঠানিকতা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতের বিষয়টি নিয়ে ভাবনায় আছেন সাধারণ মুসলমানরা।
স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সাধারণ মানুষ বলছেন, মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাব এড়াতে নিজেদেরও সতর্ক থাকতে হবে যথাসাধ্য। এদিকে, যারা কোরবানির বিকল্প অন্যকিছু ভাবছেন তাদের প্রতি সতর্কবার্তা দিয়ে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম সাফ জানিয়েছেন, কোরবানির বিপরীতে অন্য কোন পন্থাই ইসলামে বৈধতা পাবে না। পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহিউদ্দিন কাসেম বলেন, মহামারির কারণে কোরবানি না দিয়ে অসহায় মানুষকে দান করার কোন ভিত্তি নেই। কোরবানির শেষ প্রক্রিয়া পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রতিও গুরুত্ব দেন জাতীয় মসজিদের এই পেশ ইমাম।