সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সাবেক সদস্য এস এম নুনু মিয়ার হাত ধরে প্রথম বারের মতো জাপান আর্ন্তজাতিক উন্নয়ন সংস্থা (জাইকা)’র বরাদ্ধ হিসেবে উপজেলা পরিষদ পেয়েছে ৫০ লাখ টাকা। আর জাইকার দাপ্তরিক কাজ করার জন্য উপজেলা ডেভলপমেন্ট ফ্যাসিসেলটর (ইউডিএফ) অফিসার হিসেবে ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে বিশ্বনাথে বদলী করা হয়েছে হোসাইন আহমদ বিপ্লককে। ইতিমধ্যে উপজেলায় একটি অফিস বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে।সোমবার দুপুরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক সহকর্মীদের উপস্থিতিতে স্থানীয় সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিশ্বনাথবাসীকে জাইকার ৫০ লাখ টাকা বরাদ্ধে সুখবরটি জানান নুনু মিয়া। ওই বরাদ্ধের টাকা উপজেলার সার্বিক উন্নয়নে সমবন্টনের মাধ্যমে শতভাগ বাস্তবায়ন করা হবে বলে তিনি জানান। আর এজন্য তিনি সাংবাদিক, রাজনীতিবীদ ও জনপ্রতিনিধিদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।নিজের বক্তব্যে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া বলেন, ২০১৯ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি জাইকা’র বরাদ্ধের জন্য আবেদন করেন। আর ওই আবেদনের ফলে বিশ্বনাথ উপজেলা প্রথম বারের মতো জাইকার ৫০ লাখ টাকা বরাদ্ধ পেলাম। শতভাগ সচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রথম বারের মতো বরাদ্ধ পাওয়া ৫০ লাখ টাকা শতভাগ সমবন্টন ও বাস্তবায়ন করে পরবর্তিতে বরাদ্ধের পরিমান আরো বৃদ্ধি পায় সেলক্ষ্যে কাজ করে যাবেন।প্রথম বারের মতো জাইকা থেকে বিশ্বনাথে উপজেলা ৫০ লাখ টাকা বরাদ্ধ পাওয়ায় উপজেলাবাসীর পক্ষ থেকে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান’সহ সংশ্লিস্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান লিলু, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শামীম আহমদ, দেওকলস ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান খায়রুল আমিন আজাদ মেম্বার, অলংকারী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শায়েকুর রহমান মেম্বার, লামাকাজী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ এনামুল হক এনাম মেম্বার, মেম্বার ফয়ছল আহমদ, আওয়ামী লীগ নেতা নোয়াব আলী, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আশিক আলী, যুবলীগ নেতা দবির মিয়া, জমির মিয়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাঈদ মিয়া, ছাত্রলীগ নেতা মুজিবুর রহমান খান প্রমুখ।