বীরগঞ্জে পৈত্তিক সম্পত্তি নিয়ে সংঘর্ষে একই পরিবারে ৪ জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের মাহানপুর গ্রামের সতিস বর্ম্মন ও যদু বর্ম্মনের পৈত্তিক সম্পত্তি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ দিনের বিরোধ চলে আসছিল। গত শনিবার দুপুরে জমিতে হাল চাষ নিয়ে কলহ বাধে এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ লাঠি-সোডা, দা, বল্লম, কুড়াল, হাসুয়া ইত্যাদি ধারাল অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলায় জড়িয়ে পড়ে।
হামলার সময় প্রতিবেশী গনেশ বর্ম্মনের বাড়ি ভাংচুর ও ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করেছে। সংঘর্ষে সন্তোষ কুমার রায় (৩৬) গনেশ বর্ম্মন (৩২) তার ছেলে রিমন বর্মন (১৮) ও যদু বর্ম্মন (৬০) আহত হয়। আহতদের আত্ম চিৎকারে প্রতিবেশী লোকজন ছুটে এসে উদ্ধার করে উপজেল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এতে যদু বর্ম্মন অভিযোগ করেন তার কোন পুত্র সন্তান নেই তাই প্রতিপক্ষ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যখন তখন হামলা চালিয়ে স্ত্রী কন্যাসহ শুভাকাংখীদের হত্যার উদ্যেশে আক্রমন ও মারপিট-রক্তাক্ত জখম করে।
যদু বর্ম্মন আরও অভিযোগ করেন ঘটনার সময় সন্তোষ আমার পকেটে থেকে ৭১ হাজার ২৫০ টাকা ও ব্যবহৃত হিরো ১০০ সিসি মটর সাইকেল পাকা রাস্তা থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে। বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে অবগত করা হয়েছে এবং মমলার প্রস্তুতি গ্রহন করেছি। সতিষ বর্ম্মন অভিযোগ করেন প্রতিপক্ষ তাদের সম্পত্তি বিক্রি করে শেষ করেছে এখন তারা অমাদের অংশের সম্পত্তি দাবী ও দখলের চেষ্টায় বার বার হামলা ও মারপিট করছে।
ঘটনার সময় গনেশ ও যদু বর্ম্মন আমার ছেলের মটর সাইকেল ও মটর সাইকেলে থাকা দুই লক্ষ টাকা সহ টাকার একটি ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী কিরন বালা, নয়না, শোভা, সেনকা, সমাপ্তী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। সম্পত্তি নিয়ে আদালতে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। তদুপরি তারা মহামারী করোনা ভাইরাসের সুযোগ নিয়ে আদালতের আদেশ পদোদলিত করে হামলা ও মামলা করে হয়রানী করছে। উল্লেখিত ঘটনায় উভয় পক্ষে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।
মোহাম্মদপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোপাল চন্দ্র দেব শর্ম্মা সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ইতিপূর্বে একাধিকবার তাদের উভয় পক্ষের সাথে বৈঠক করে আপোষ মিমাংসা করার চেষ্টা করে কোন সুফল হয়নি।