পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌর শহরের বেইলি ব্রিজ থেকে শরৎনগর বাজার পর্যন্ত সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার হয়নি। পৌর কর্তৃপক্ষ গত এক বছরে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে সড়ক সংস্কারের জন্য প্রকল্প পাঠিয়েও ব্যর্থ হন। অবশেষে জনগণের চাওয়ায় ভাঙ্গুড়া পৌরসভার মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল নিজস্ব অর্থায়নে সড়কটি সংস্কার শুরু করেছেন। মেয়র রাসেল ভাঙ্গুড়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইটের ভাটা সহ একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। সম্প্রতি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ভাঙ্গুড়ায় বিভিন্ন প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়ে সারাদেশে আলোচনায় এসেছেন মেয়র রাসেল।
পৌর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, পৌর শহরের ভাঙ্গুড়া বাজার ও শরৎনগর বাজারের মাঝখান দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে বড়াল নদী। দুই বাজারের সংযোগ স্থাপন করেছে বড়াল নদীর ওপর নির্মিত বেইলি ব্রিজ। বেইলি ব্রিজের উভয় পাশে রয়েছে সংযোগ সড়ক। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শতাধিক পণ্য ও গণপরিবহন চলাচল করে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ব্রিজের পূর্ব পাশ থেকে শরৎনগর বাজার পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩০০ মিটার সংযোগ সড়ক সংস্কারের অভাবে বেহাল অবস্থা হয়ে পড়ে। যদিও পৌর কর্তৃপক্ষ গত কয়েক বছরে স্বল্প বরাদ্দে সংস্কার করে সড়কটি চলাচলের উপযোগী রাখে। সম্প্রতি কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে সড়কের অবস্থা একেবারে খারাপ হয়ে পড়ে। ফলে যানবাহন চলাচলে মারাত্মক অসুবিধার সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় পৌরশহরের ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ ও সচেতন বাসিন্দারা সড়কটি সংস্কারের জন্য পৌর মেয়রের কাছে দাবি করেন। এর প্রেক্ষিতে মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল নিজের টাকায় সড়ক মেরামত শুরু করেন। মেরামতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১০ লাখ টাকা।
এদিকে গত অর্থবছরে প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক সংস্কার, পয়ঃনিষ্কাশন ড্রেন নির্মাণ, বিভিন্ন মহল্লায় নতুন সড়ক নির্মাণ ও সড়কে সোলার বাতি বসানো হয়েছে। মেয়র রাসেল নিজে তদারকি করে এসব টেকসই উন্নয়ন কাজের মান বুঝে নিয়েছেন।
শরৎনগর বাজারের ব্যবসায়ী ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক রানা বলেন, ‘মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল শুধু রাজনীতিবিদ নন। তিনি ভাঙ্গুড়া শহরের সফল একজন ব্যবসায়ী। তাই শহরে জনগুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ব্যক্তিগত উদ্যোগে কাজ করতে তার কাছে আমরা দাবি জানাই। তিনিও আমাদের দাবীতে সবসময়ই সারা দেন। আমাদের এমন চাওয়াতেই তিনি সড়কটি সংস্কার করছেন।’
মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল বলেন, ‘বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে শহরের প্রায় ৮০ ভাগ সড়ক প্রশস্তকরণ সহ সংস্কার করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে নতুন নতুন সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। তবে দুর্ভাগ্যবশত একটি জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক সংস্কার থেকে বাদ পড়ে যায়। তাই জনগণের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে নিজস্ব অর্থায়নে সড়কের সংস্কার করলাম। পরবর্তীতে কোনো প্রকল্প পাশ হলে সমন্বয় করা হবে।’