সৎ ও সাহসী নেতৃত্বের নাম স্বপন ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া (পাবনা-৪) আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী মিজানুর রহমান স্বপন। তিনি
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলে দলের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ভোট যুদ্ধে বিজয়ী হয়ে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই আসন উপহার দিতে চান।মিজানুর রহমান স্বপন ঈশ্বরদীর
আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের রাজপথের অগ্রভাগে থেকে বিএনপি-জামায়াতের অপশাসন ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। রাজনৈতিক হয়রানি ও জেল-জুলুমের শিকার হয়েও তিনি কখনও রাজনীতি থেকে পিছুপা হয়নি। পারিবারিকভাবে আওয়ামী পরিমন্ডলে বেড়ে উঠা স্বপন স্কুল জীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্রলীগের
রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। পরবর্তীতে নিজের মেধা, যোগ্যতা ও ব্যক্তিত্বের গুনাবলীর কারণে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী ও ঈশ্বরদী কলেজের সাধারণ ছাত্র-
ছাত্রীদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেন।১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে ঈশ্বরদীতে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের উপর নেমে আসে ভয়াবহ
নির্যাতন। বিএনপির সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলা আর পুলিশি নির্যাতনে আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠে। দলের সেই
দুঃসময়ে ঈশ্বরদী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের মিছিলের নেতৃত্বে দিতেন মিজানুর রহমান স্বপন এবং তার বড় ভাই মোখলেছুর রহমান রিপন। তৎকালীন
সময়ে সরকার বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার কারণে বিএনপির হামলা, মামলার মূল ল্যবস্ত ছিলেন কলেজ সংলগ্ন তাদের বাড়ি ও ব্যবসা
প্রতিষ্ঠান। তাঁর বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যরা বারবার বিএনপির সন্ত্রাসীদের দ্বারা লাঞ্ছিত হয়েছেন । সে সময় আ’লীগের অনেক পরিবার
ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এদের মধ্যে অন্যতম ছিল স্বপনের পরিবার। আওয়ামী পরিবারের সন্তান স্বপনের আরো তিন ভাই রাজনীতিতে সক্রিয়। বড় ভাই
নাজমুল হোসেন উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, মোখলেছুর রহমান রিপন উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্যছিলেন, ছোট ভাই মোশাররফ হোসেন নয়ন পৌর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।এক সময়ের জনপ্রিয় ছাত্রনেতা ও বর্তমানে
ঈশ্বরদী পৌর আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক তারুন্যদীপ্ত স্বপ্নবান নেতা মিজানুর রহমান স্বপ্ন দেখেন সমৃদ্ধময় ঈশ্বরদী ও
আটঘরিয়া গড়ে তোলার। যেখানে রাজনীতির নামে কোন মারামারি,লুটপাট, হত্যা, রাহাজানি থাকবে না, কোন সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি হবে না। শিল্প ও কৃষিতে উন্নয়নের মাধ্যমে এ অঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক ভীত শক্তিশালী করে তুলতে চান।মিজানুর রহমান স্বপন করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বশরীরে দলীয় সকল নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে দেখা করতে না পারলেও মুঠোফোন ও সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের সঙ্গে সার্বনিক যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন। করোনা পরিস্থিতিতে হতদরিদ্র মানুষদের আর্থিক সহায়তা ও
খাদ্য সামগ্রী বাড়ি বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছেন। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। হাজার
হাজার দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে শোভাযাত্রা, মিছিল, পথসভা, উঠান বৈঠকের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের উন্নয়ন কর্মকান্ডের ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছেন। সাধারণ মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকান্ডের লিফলেট পৌঁছে দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের সফলতার নানাদিক তুলে ধরেছেন।
তিনি মনোনয়ন না পেলেও জননেত্রী শেখ হাসিনার মিজানুর রহমান স্বপন বলেন, আওয়ামী পরিবারের সন্তান আমি। ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি, আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় আছি। বিপদ আপদে মানুষের পাশে
আছি। আমি স্বপ্ন দেখি সুন্দর ও বাসযোগ্য ঈশ্বরদী-আটঘরিয়ার।
অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পাশাপাশি মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যেতে চাই। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে আওয়ামীলীগ ও সকল অঙ্গ সহযোগী
সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করছি।