বিনাধান-১৯ বৃষ্টি নির্ভর অবস্থায় সরাসরি বপন উপযোগী (ডিবলিং) আউশ ও আমন মৌসুমের একটি জাত। স্বাভাবিকভাবে কোন সেচের প্রয়োজন হয় না। এই ধানের জীবনকাল মাত্র ৯৫ থেকে ১০৫ দিন। লবণাক্ত এলাকা ছাড়া দেশের খরা পীড়িত বরেন্দ্র ও পাহাড় অঞ্চলসহ প্রায় সকল মধ্যম ও উঁচু জমিতে এই ধানের ফলন হয়। এই জাতের ফলন হেক্টর প্রতি ৫ টন। বেশি ফলনের পাশাপাশি এর উৎপাদন খরচও অন্য ধানের তুলনায় কম। তাই কম খরচে স্বল্প সময়ে বেশি ফলনের জন্য বিনা-১৯ জাতের ধান আবাদ করে ঈশ^রদী এলাকার কৃষকরা লাভবান হয়েছেন। বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) ঈশ্বরদী উপকেন্দ্রের উদ্যোগে শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে কৃষকরা তাদের বক্তব্যে এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। মঙ্গলবার বিকেলে ঈশ্বরদী শহরের উমিরপুর এলাকায় বিনা উদ্ভাবিত স্বল্প মেয়াদী ও খরা সহিঞ্চু আউশ ধানের উচ্চ ফলনশীল জাত বিনা-১৯ এর প্রচার ও স¤প্রসারণের লে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা)’র মহাপরিচালক ড.মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিনা’র পরিচালক (প্রশাসন ও সাপোর্ট সার্ভিস) ও বিনা ধান-১৯ এর উদ্ভাবক ড. আবুল কালাম আজাদ, পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আজহার আলী, ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল লতিফ। সভাপতিত্ব করেন ঈশ্বরদী উপকেন্দ্রের এসএসও এবং ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুশান চৌহান। বক্তব্য রাখেন ঈশ্বরদী’র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা খানজাহান আলী, কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা সুজন কুমার রায়, কৃষক জুয়েল রানা প্রমূখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিনা উপকেন্দ্র ঈশ্বরদী’র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মশিউর রহমান।