বগুড়া জেলা প্রতিনিধি: বগুড়ায় দ্বিতীয় দফায় যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ১৩ জুলাই সোমবার পানি বৃদ্ধির কারণে জেলার তিনটি নদী যমুনা, বাঙালি ও করতোয়া নদীতে ভয়ংকর রূপধারণ করে আছে। এবারে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বেশি কিছু এলাকা নতুন করে তলিয়ে গেছে। বগুড়ার সারিয়াকান্দি, সোনাতল ও ধুনট উপজেলায় যমুনা নদীর অববাহিকার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে প্রায় ৭৭ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে আছে। আর যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে পানি বেড়েছে বগুড়া সদরের করতোয়া নদীতেও।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও আষাঢ়ের অবিরাম বর্ষণে বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় বাঙালি ও করতোয়া নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে শুরু করেছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় পৌরশহরের ৩নং ওয়ার্ডসহ উপজেলার অন্তত দশটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার অনেক বাসা-বাড়ি ও রাস্তা-ঘাট পানিতে ডুবে গেছে। ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েকশ পরিবার। নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছেন বানভাসী মানুষ। সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন তারা। এছাড়া বগুড়া শহরের করতোয়া নদীর দুই পাড় সমান হয়ে উঠেছে পানিতে। পানি আর কিছু বাড়লে বন্যা দেখা দিতে পারে।
বগুড়া জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আজাহার আলী বলেন, যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের ৯৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। দুর্গত এলাকার ১৯ হাজার ৭২ পরিবারের ৭৭ হাজার ৬২০ জন মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, যমুনা নদীন পানি ১৩ জুলাই সোমবার বিকেল ৬টার হিসাব অনুযায়ী ৫৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জানা যায়, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অবিরাম বর্ষণে যমুনা নদীর পানি ফের বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে প্রথম দফার পানি নেমে যেতে না যেতেই ফের বন্যা কবলিত হয়ে পড়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে পানিবন্দি হাজারও মানুষের। বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার যমুনা নদীর শনপচা, মাঝিড়া, বোহাইল, আওলাকান্দিচর ও ধুনটের রাধানগর ও বৈশাখীচরসহ অনান্য চরের অধিকাংশ স্থানেই নতুন করে পানি উঠেছে। হাজার হাজার মানুষ গবাদি পশু নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে কিংবা উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে।