নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের গুরুদাসপুরে ফাতেমা খাতুন নামে ৫ বছরের এক শিশুকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে সোনালী নামে ১৪ বছরের এক শিশোরীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের চড়পাড়া
গ্রামে। এঘটনায় গতকাল (৯ জুন) সোনালীকে আটক করেছে গুরুদাসপুর থানা পুলিশ।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত ২৯ জুন বেলা ৪টার দিকে শিশু ফাতেমাকে যখন তার বাবা-মা খুঁজে পাচ্ছিলনা। শিশুটির মা মিনারা বেগম তখন প্রতিবেশি দেরেশ উদ্দিনের মেয়ে সোনালী (১৪) কে বলে আমার মেয়ে ফাতেমাকে দেখছো কি?। এমন প্রশ্নে সোনালী বলে পুকুরে গোসল
করতে লেগে পুকুরে আমার নাকফুল হারিয়ে গেছে। সেটা খুঁজতে হবে। এমন কথাতে শিশুটির মা পুকুর পাড়ে গেলে শিশুটির সেন্ডেল দেখতে পায়। পরে পুকুরে নেমে তার লাশ পায়। শিশুটির মায়ের চিৎকারে
এলাকাবাসি এসে বলে শিশুটি পানিতে ডুবে মারা গেছে মর্মে তাকে দাফন করা হয়। মৃত্যুর চারদিন পর শিশুর পিতা শহিদুল ইসলাম জানতে পারেন তার শিশু কন্যাকে মারা হয়েছে।
শিশুটির বাবা শহিদুল ইসলাম জানান, আমার প্রতিবেশি বাকী হোসেনের মেয়ে আখি খাতুন (১২) এবং অভিযুক্ত সোনালী খাতুন (১৪) দুজন ঘনিষ্ঠ বান্ধবী। যার সুবাদে আখিকে সোনালী বলে আমি
ফাতেমাকে মেরেছি। এমন কথা থেকেই আমরা জানতে পারি আমাদের মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। এঘটনায় এলাকায় জানাজানি হলে এলাকাবাসি ফুঁসে উঠে। পরিবারটি গতকাল বিকেলে তাদের শিশু
কন্যাকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে একটি সংবাদ সম্মেলনও করেন। সংবাদ
সম্মেলনে অভিযুক্তের বিচার দাবি করেন। পরে অভিযুক্ত কিশোরী সোনালীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পুলিশের
জিজ্ঞাসাবাদে মেরেটি দূর্ঘটনা বসত শিশুটি মারা গেছে তার কাছ থেকে এমনটা স্বীকার করেছে বলে জানা যায়। এঘটনায় শিশুটির বাবা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে তিনজনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাহারুল ইসলাম বলেন, একটি হত্যা মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত সোনালীকে নাটোর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।#