নাটোরের বড়াইগ্রামে ‘জমি আছে ঘর নাই’ প্রকল্পের আওতায় আদালতে মামলাধীন জমিতে ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বিবাদমান জমিতে এ ঘর নির্মাণকে
কেন্দ্র করে উভয় পক্ষে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। এতে যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী
সংঘর্ষ ঘটার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে একটি পক্ষ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, উপজেলার তিরাইল মৌজার ৮৮২ হালদাগের ১৪ শতাংশ জমি নিয়ে নূর
বক্স প্রামাণিকের ছেলে আত্তাব আলী প্রতিপক্ষ সামসের আলী প্রামাণিকের ছেলে শাকবর আলীর নামে আদালতে মামলা করেছেন। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি শাকবর আলী মামলার বিষয়টি গোপন রেখে আবেদন করলে
‘জমি আছে ঘর নাই’ প্রকল্পের আওতায় তার নামে একটি ঘর বরাদ্দ হয়। গত সোমবার ঠিকাদারের লোকজন শাকবর আলীর বাড়িতে ঘরের কাজ করতে গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়। এ সময় আত্তাব আলী আদালতে মামলাধীন জমিতে ঘর
নির্মাণে বাধা দিলে শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে দেন। বর্তমানে এ ঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাধাদান কারী আত্তাব আলী বলেন, শাকবর আলীর বাবা পুরো জমিটাই আমার বাবার কাছে বিক্রি করে দেন। কিন্তু শাকবর আলী তা না মানায় এ ব্যাপারে আদালতে মামলা করেছি। অথচ এমন বিবাদমান একটি জমিতে
সরকারী ঘর বরাদ্দ দিয়ে উত্তেজনা উস্কে দেয়া হয়েছে।
শাকবর আলী জমি বিক্রির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমার বাবা জমি বিক্রি করেছে এটা ঠিক। কিন্তু যেখানে ঘর উঠাচ্ছি সেই জমি আমাদেরই। তবে তার বাবার জমি বিক্রির পর আর কোন জমি অবশিষ্ট আছে কিনা তা তিনি জানেন না বলে জানান।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার পারভেজ লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, বিষয়টি আমি জানি। আগামীকাল
(বৃহস্পতিবার) আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবো।