ব্রিটেনের রাজবধূ প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী মেগান মার্কেল বর্তমান পরিস্থিতি সামলে উঠতে তার সবচেয়ে কাছের বন্ধু বা বেস্টফ্রেন্ড জেসিকা মালরোনিকে ‘ছুড়ে’ ফেলে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন কানাডিয়ান ঐ তরুণী নিজেই। জেসিকা বলেছেন, মেগানের এই আচরণের ফলে যে আকস্মিক মানসিক ধাক্কা তিনি পেয়েছেন তার ফলে তার ক্যারিয়ারটাই ধ্বংসের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। এমনকি মেগান নাকি তাকে না চেনার ভান করছেন। এতে বন্ধুমহলে তাকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হতে হচ্ছে।
কানাডাতেও জেসিকা একজন টিভি সেলিব্রেটি। তার সহযোগীরা ব্রিটেনের দ্য সান পত্রিকাকে বলেন, জেসিকা হলিউডেও ক্যারিয়ার গড়তে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তার ‘রয়্যাল’ বন্ধুর এমন আচরণে ভীষণ মুষড়ে পড়েছেন। হয় তো তার ভালো ভবিষ্যতের স্বপ্নটাও মেগানের কারণে নষ্ট হয়ে গেল!
কারণ, রাজপরিবারের এই গুরুত্বপূর্ণ সদস্যের সঙ্গে বন্ধুত্বের কারণে বড় বড় ব্রান্ডের পণ্যদূত হবার সুযোগ পেয়েছিলেন জেসিকা। কারণ তার সঙ্গে মেগানের সম্পর্কের কারণে পরোক্ষভাবে মেগানও তাদের পণ্য প্রচারে ভূমিকা রাখতেন। তার সঙ্গে ঘুরতেন, ফিরতেন, আড্ডা দিতেন। টিভি ও পত্রপত্রিকায় এসব দৃশ্য জেসিকার ব্র্যান্ড ইমেজ গড়তে সাহায্য করে। তিনিও মেগানকে কম মানসিক সাপোর্ট দেননি। কিন্তু এখন মেগান যে জেসিকাকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছেন সেটা জানতে পেরে কোম্পানিগুলোও তার সঙ্গে ব্যাবসায়িক চুক্তি ছিন্ন করতে চাইছে।
কিন্তু হঠাত্ জেসিকাকে সেরা বন্ধুর তালিকা থেকে কেন ছুড়ে ফেলে দিলেন মেগান সে ব্যাপারে ব্রিটিশ মিডিয়াতে কানাঘুষা চলছে। কেউ কেউ বলছেন, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের হাতে একজন নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটারস’ আন্দোলন চলাকালে সামাজিক যোগাযোগে দেওয়া কিছু পোস্ট নিয়ে উভয়ের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়। মেগান তখন প্রকাশ্যে কিছু না বললেও এখন বন্ধুত্ব বর্জন করে শোধ তুলছেন।