মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ৭নং চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের বালিকান্দি গ্রামে এক লন্ডন প্রবাসীর দানকৃত ভূমিতে একটি প্রভাবশালী চক্রের মামলা-হামলা ও হয়রানীর কারণে উচ্ছেদ আতংকে রয়েছে সেখানে দীর্ঘ প্রায় ৩৫ খেকে ৩৬ বছর যাবৎ বসবাসরত আবরুছ মিয়া, টকলু মিয়া, বরকত মিয়া, রহমত মিয়া, আলাল মিয়া, রাখাতুন বেগম, শারিরিক প্রতিবন্ধী পরিবারসহ ৬টি ভূমিহীন। অসহায় পরিবারগুলো আতংকে স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারছে না। সরেজমিন- ৬ ভূমিহীন পরিবার, সংশ্লিস্ট ইউপি মেম্বার, চেয়ারম্যান ও স্থানীয় লোকজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে- এলাকার বিশিস্ট সমাজসেবক হাজী মাসুক মিয়া দীর্ঘ প্রায় ৩ যুগ আগে নিজ অর্থায়নে জমি ক্রয় করে ৬ পরিবারকে পূর্ণবাসন করেন। ধারাবাহিকতায় পিতার উত্তারাধিকার সুত্রে প্রবাসী পুত্র মুজিবুর রহমান জুন্নু একই ভাবে উক্ত ৬ পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে দেখাশুনা করেন। সেখানে একটি মানবাধিকার সংগঠনের সহযোগীতায় একটি প্রতিবন্ধী পরিবারকে পাকা ঘর নির্মাণ করে দেন। একটি সুত্র জানায়- বর্তমান সরকার মনু নদীর বালিকান্দি খেওয়াঘাঠ এলাকায় একটি ব্রীজ নির্মান করে দেওয়ার উদ্যাগ গ্রহণ করলে ভূমিতে একটি প্রভাবশালী চক্রের দৃষ্টি পড়ে। সেই থেকেই উচ্ছেদের জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত অব্যাহত থাকে তাদের। অপরদিকে, একই এলাকার রুহেল আমিন তরফদার,সুহেল আমিন তরফদার ও জুয়েল আমিন তরফদার নামীয় ব্যক্তি উক্ত ভূমিহীনদের কিছু জমি রেকর্ড করে (তসদিকৃত) নেন। সেখানে বসবাসরত ভূমিহীন আবরুছ উল্লা, খালেদ মিয়া ও সাইদুল মিয়াগংদের ভূমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য হুমকি দেন। এ ব্যপারে জানতে চাইলে ৭নং চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ শওকত জানান- সমাজসেবক হাজী মাসুক মিয়া নিজ অর্থায়নে জমি ক্রয় করে ৬ পরিবারকে পূর্ণবাসন করেছেন। বাঁধা সৃষ্টিকারী প্রতিপক্ষের লোকজন একাধিক সালিশ-বৈঠক এ উপস্থিত হয়নি। ৭নং চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আখলাই মিয়া ঘঠনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন- একজন দানশীল ব্যক্তি উদ্যাগে ৬ পরিবারকে পূর্ণবাসন করলেন। সেটা একটা মহৎ উদ্যাগ। যে কোন কারণে মাট দখলের কাগজে মালিকানার নাম আসতেই পারে। তাই বলে ভূমির মালিক হওয়া যায়না। ভূমির মালিকানার সঠিক কাগজ যার আছে সেই প্রকৃত মালিক। ৬ ভূমিহীন পরিবারকে হয়রনানী যারা করছেন, বিষয়টি দুঃখজনক।