হলিউডে বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছেন বলিউড সুন্দরী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। তবে প্রিয়াঙ্কার আগে হলিউডে ভারতীয় চলচ্চিত্রের প্রতিনিধিত্ব করেছেন সাবেক বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন বলছে, অভিষেক ও তার পরিবারকে সময় দেওয়ার কারণে হলিউড লেজেন্ড উইল স্মিথের ছবির অফার ফিরিয়ে দেন ঐশ্বরিয়া রায় বচ্চন। নীলনয়না এই সুন্দরীকে একটি নয় তিনটি ছবির অফার দিয়েছিলেন উইল স্মিথ, হিচ (২০০৫), সেভেন পাউন্ডস (২০০৮) এবং টুনাইট হি কামস।
২০০৮ সালে উইল স্মিথের বহু চর্চিত ছবি সেভেন পাউন্ডসের অফার হাতছাড়া হয় ঐশ্বর্যর। সেই সময় মার্কিন সাংবাদমাধ্যমে খবর রটে করওয়া চৌথের ব্রত পালন করতেই নাকি সদ্যবিবাহিতা ঐশ্বর্য ইউএস ছেড়ে হাজির হন স্বামী অভিষেকের কাছে। তবে এ খবর ভিক্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন অ্যাশ।
এ প্রসঙ্গে ঐশ্বরিয়া বলেন, আমি মুম্বাই এসেছিলাম স্বামীর জন্য উপোস করে ধর্মীয় আচার পালন করবার জন্য নয়, যখন দ্য সেভেন পাউন্ডসের স্ক্রিপ্ট রিডিং চলছিল তখন আচমকাই শাশুড়ি অসুস্থ হয়ে পড়েন।উনার শারিরীক পরিস্থিতির দ্রুত অবনতির জন্য আমি সব ছেড়ে চলেছিলাম,লস অ্যাঞ্জেলসে যেতে পারিনি। সেটা কী ভুল? আমার জন্য নয়। আমার কাছে যে কোনও দিন ক্যারিয়ারের চেয়ে আগে পরিবার’।
টুনাইট হি কামস প্রোজেক্ট কেন ফিরিয়ে ছিলেন তিনি এ বিষয়ে তার ভাষ্য, হ্যাঁ, আমাকেই সেইবারও না বলতে হয়। আমার খুব খারাপ লেগেছিল কিন্তু আমার কাছে নিজের প্রাধান্যগুলো খুব স্পষ্ট-সেখানে পরিবার সবচেয়ে আগে’। উইল স্মিথের সঙ্গে ঐশ্বর্য সম্পর্ক খুবই বন্ধুত্বপূর্ন।
তিনি আরও জানান, চিত্রনাট্য পছন্দ হওয়া সত্ত্বেও আগে থেকেই যোধা আকবরের জন্য শিডিউল ঠিক ছিল তার। সেই কারণেই ইচ্ছা সত্ত্বেও সেই ছবিতে কাজ করা হয়নি ঐশ্বরিয়ার। জানা যায় ২০০৫ সালে ভারত সফরের সময় ঐশ্বর্যকে এই ছবির অফার দিয়েছিলেন উইল স্মিথ।
হলিউডে ব্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস, মিস্ট্রেস অফ স্পাইসেস, প্রোভোকড, দ্য লাস্ট লিজিয়ন এবং পিঙ্ক প্যান্থর টুয়ের মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন ঐশ্বরিয়া।
বক্স অফিসে অ্যাশের শেষ ছবি ছিল ফান্নে খান (২০১৮)। এরপর ঐশ্বর্যকে দেখা যাবে গুরু, রাবণ পরিচালক মণি রত্নমের তামিল ছবি ‘পন্নিইন সেলভান’ এ। এই পিরিয়ড ছবিতে ঐশ্বর্যর বিপরীতে রয়েছেন জনপ্রিয় তামিল সুপারস্টার বিক্রম। জানা গেছে, দুটি পর্বে মুক্তি পাবে এই ছবি।