ঈশ্বরদীতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ৮৩জন সহ মোট ৮৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। রূপপুর প্রকল্পের ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পাহারপুর কোলিং টাওয়ার লিঃ এর ৫৯ জন এদের মধ্যে রয়েছেন। এছাড়া ঈশ্বরদী হাসপাতালের নার্স তৃপ্তি বিশ্বাস এবং রেলগেট এলাকার জনৈক কর্ণেলের স্ত্রী ও শ্যালিকা রয়েছেন। ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আসমা খান ৮৭ জন আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঢাকার প্যাথল্যাব থেকে শনিবার ও রবিবার ঢাকা আইইসিসিডিআর, প্যাথল্যাব এবং বগুড়ার টিএমএসএস থেকে পাঠানো রিপোর্টের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন।
ডাঃ আসমা খান আরো জানান, এদের মধ্যে কিছু সংখ্যকের নমুনা ঈশ^রদী হাসপাতালে সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে ভারতীয় পাহারপুর লিঃ আলাদাভাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীার ব্যবস্থা করে। হাসপাতালে এ্যাম্পুল ও স্টিকের সংকটের পাশাপাশি রাজশাহীতে রিপোর্ট প্রাপ্তিতে জট সৃষ্টি হয়। এই পরিস্থিতিতে পাহারপুর লিঃ স্বউদ্যোগে নমুনা সংগ্রহ এবং নমুনা পরীার ব্যবস্থা করে।
পাহারপুর কোলিং ট্ওায়ার লিঃ এর এইচ আর বিভাগের এডমিন কারিব জানান, গত ৮ই জুন প্রতিষ্ঠানের জনৈক জনির করোনার রিপোর্টে পজিটিভ ধরা পড়ে। এসময় রাশিযান মূল ঠিকাদার এটমস্ট্রয় এক্সপোর্ট পাহারপুর লিঃ এর ১৬ জন সিকিউরিটি বাদে সকলকে প্রকল্প এলাকায় প্রবেশাধিকার বন্ধ করে আইসোলেশনে পাঠায়। সেই সাথে সকলকে করোনা পরীার সনদ নিয়ে প্রকল্পে ঢোকার জন্য বলা হয়। ঈশ্বরদী হাসপাতালে নমুনা পরীায় সমস্যা ও দীর্ঘসূত্রিতার কারণে প্রতিষ্ঠানের উর্দ্ধতন কর্তৃপরে নির্দেশে আলাদাভাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীার ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। এই অবস্থায় তাদের প্রতিষ্ঠানে কাজের সাথে সংশ্লিষ্ঠ প্রায় ৭০০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার প্যাথ ল্যাবে পরীার জন্য পাঠানো হয়। প্যাথ ল্যাব প্রেরীত রিপোর্টে ৫৯ জনের পজিটিভ ধরা পড়েছে। কারিব আরো বলেন, এই ৫৯ জনের মধ্যে পাহারপুর লিমিটেডে কর্মরত ৬ জন রয়েছে। অন্যান্যরা ওই প্রতিষ্ঠানের ৬টি বাংলাদেশীয় সাব-ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের অধীনে কর্মরত । ৯ই জুন থেকে পাহারপুরের অধীনে কর্মরত সকলেই আইসোলেশনে রযেছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।