নাজিম হাসান,রাজশাহী প্রতিনিধি:
অবশেষে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে হেরে গেলেন উপমহাদেশের বাংলা ভাষাভাষীদের মাঝে কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোর। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে রাজশাহী মহানগরীর মহিষবাতান ট্রমা সেন্টার ক্লিনিকেই লাইফ সাপোর্টে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। এর আগে প্রায় ৯ মাস পর সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরেন সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোর। তবে ছিলেন গুরুতর অসুস্থ। কারও সঙ্গে কথা বলতে পারছিলেন না তিনি। তার দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা শফিকুল ইসলাম বাবু ইউনিভার্সালনিউজ-কে জানান, গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন এই সঙ্গীত কিংবদন্তী। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর ১১ জুন রাতে বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন তিনি। সপ্তাহ খানেকের বেশি মিরপুরে বাসায় কাটানোর পর তিনি রাজশাহী চলে আসেন। দেশে ফিরে কিছুটা সময় কোলাহলমুক্ত কাটাতে চেয়েছেন। তাই ফেরার খবরটি এতদিন কাউকে জানাননি। এ প্রসঙ্গে এন্ড্রু কিশোর কিছুদিন আগে বলেছিলেন,কয়েক দিন হল দেশে এসেছি। কিছুটা সময় একান্তে থাকতে চেয়েছি। তাই পরিবারের বাইরে কাউকে জানাইনি। তাছাড়া শরীরের অবস্থাও খুব বেশি ভালো নয়। ডাক্তার কড়া নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, কোলাহলমুক্ত থাকতে হবে-সেই নির্দেশনা মেনেই চলছি। চেকআপের জন্য তিন মাস পর পর তাকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে যেতে হবে। গত বছরের ৯ সেপ্টেস্বর শরীরের নানা জটিলতা নিয়ে সিঙ্গাপুর চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন তিনি। ছয়টি ধাপে তাকে মোট ২৪টি কেমোথেরাপি দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসক জানিয়েছেন, কয়েক মাস পরপর নিয়মিত চেকআপ করাতে হবে তাকে। এর আগে মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে দেশে ফিরতে চেয়েছিলেন এন্ড্রু কিশোর। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে দেশে ফেরা হয়নি তার। অবশেষে বিশেষ ফ্লাইটে ফিরলেন দেশে। ১৯৭৭ সালে মেইল ট্রেন’সিনেমার মধ্য দিয়ে প্লেব্যাকে যাত্রা শুরু করেন এন্ড্রু কিশোর। এরপর আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প,হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস,ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে,আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি, আমার বুকের মধ্যে খানেসহ অসংখ্য জনপ্রিয় ও কালজয়ী গান উপহার দিয়েছেন শ্রোতাদের।